অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


খুনি, যুদ্ধাপরাধীরা যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকুন : প্রধানমন্ত্রী


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ই ডিসেম্বর ২০২২ রাত ০৯:১২

remove_red_eye

২৭১

প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশকে ধ্বংস করার জন্য খুনী ও যুদ্ধাপরাধীরা যেন আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান পুণর্ব্যক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজয় আমরা এনেছি, এই বিজয়ের পতাকা সমুন্নত করেই চলতে হবে। আবার যেন ঐ খুনি, যুদ্ধাপরাধী, যাদের আমরা বিচার করেছি, তারা ক্ষমতায় এসে এই দেশকে ধ্বংস করতে না পারে। সে দিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে ও লক্ষ্য রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় একথা বলেন।
তিনি বলেন, নইলে বিএনপি বিজয়ের মাসে (১০ ডিসেম্বর) বিজয় উৎসব না করে যেদিন থেকে পাকিস্তানী বাহিনী দেশে বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু করে সেদিন ঘোষণা দেয় যে সরকার উৎখাত করবে। 
 শেখ হাসিনা বলেন, এতই সোজা (আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা), আওয়ামী লীগ পারে। আইয়ুক খানকে উৎখাত করেছি, ইয়াহিয়া খানকে যুদ্ধে পরাজিত করে উৎখাত করেছি, জিয়া যেখানেই গেছে আন্দোলন তার বিরুদ্ধে হয়েছে, এরশাদকে উৎখাত করেছি, খালেদা জিয়া ১৫ই ফেব্রুয়ারির ভোট চুরির পর তাকে উৎখাত করা হয়েছে, আবার ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিল সেটাও বাতিল হয়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগ পারে। আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা এত সোজা নয়। 

 

তিনি বলেন, তবে তারা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসলে চক্রান্ত করতে পারবে, ষড়যন্ত্র করতে পারবে যেমন ২০০১ সালে চক্রান্ত করে আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়নি তার ভোগান্তি এদেশের মানুষের হয়েছে।
তিনি বলেন, তাই মানুষকেও সজাগ থাকতে হবে। আবার তারা ভোগান্তিতে পড়বে, নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিজয়ের পতাকা সমুন্নত রেখে উন্নয়নের পথে অপ্রপতিরোধ্য গতিতে সামনে এগিয়ে গিয়ে গড়ে তুলবে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ কম্পিউটার ব্যবহারে পরদর্শী হবে, আমাদের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য আমাদের ই-গভার্নেন্স, ই-বিজসেন ই-জনগোষ্ঠী সবকিছু আমরা এভাবে করবো। এমনকি স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে শিক্ষা সবকিছুকেই আমরা সেভাবে গড়ে তুলবো এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যচ্ছে এর গতিকে আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের বিজয়ের মাসে বিজয়ের দিনে এটাই প্রতিজ্ঞা হবে যে বিজয়ের পতাকা সমুন্নত রেখে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবো। উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি এখন উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলবো।
দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রারম্ভিক বক্তৃতা করেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও বক্তৃতা করেন।
আরো বক্তৃতা করেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রবীন জননেতা আমির হোসেন আমু, দলের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম ও সিমিন হোসেন রীমি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন সভা সঞ্চালনা করেন।
 দেশটাকে অর্থনৈতিকভাবে সম্পুর্ণ পঙ্গু করার এবং মুক্তিযদ্ধের চেতনাকে বিপথে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্রই এদেশে ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারের এসেছে কিন্তু সেই ক্ষমতায় আসাটা অত্যন্ত দুরুহ ছিল। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই জনগণ উপলদ্ধি করতে পেরেছে যে সরকার আসলে জনগণের সেবক এবং একটা সরকার ইচ্ছা করলেই যে জনগণের উন্নয়ন করতে পারে আওয়ামী লীগ সেটা প্রমাণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাদের সমর্থন করে, ভোট আমাদের আছে কিন্তু নির্বাচনে কারচুপি করে হোক, ষড়যন্ত্র করে হোক, চক্রান্ত করে হোক বার বার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে বাধা দেয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের শক্তিই সবথেকে বড় শক্তি আর একটা বিশ^াস আর উপরে রাব্বুল আলামিনতো আছেনই কাজেই সেই মানুষের শক্তি নিয়েই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। আর ’৯৬ থেকে ২০০১ এদেশের মানুষের জন্য স্বর্ণযুগ ছিল। তারপর আবার একটা চক্রান্ত হলো (২০০১ সালের নির্বাচনে) আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি ফলে বাংলাদেশের মানুষ পেয়েছে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, লুটপাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি, মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা ছিল না। অগ্নিসন্ত্রাস, নির্যাতন কি না হয়েছে এদেশে। কিন্তু প্রতিটি সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মানুষের পাশে থেকেছে। আর আমরা সরকারে যখন থেকেছি এই প্রত্যেকটা জিনিষ আমরা মোকাবিলা করেছি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামাতসহ আরও কিছু পার্টি মিলে দাঁড়ালো কিন্তু আরেকটি জিনিষ খুব অবাক লাগে কোথায় লেফটিস্ট আর কোথায় রাইটিস্ট। যারা লেফটিস্ট তারা মনে হল ৯০ ডিগ্রী ঘুরে গিয়েছে। অর্থাৎ সেই জামাত বিএনপি তাদের সাথে আমাদের বাম, অতি বাম,স্বল্প বাম, তীব্র বাম, কঠিন বাম সব যেন এক হয়ে এক প্লাটফর্মে। 
‘সত্যি সেলুকাস কি বিচিত্র এদেশ। সেকথাই মনে হয়, কোথায় তাদের নীতি আর আদর্শ, কোথায় কি’, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কি কারণে যারা হত্যাকারি, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি করে সাজাপ্রাপ্ত আসামী, গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের সেতা-কর্মী হত্যার বিচারের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামী, মানি লন্ডারিংয়ে সাজাপ্রাপ্ত, এতিমের অর্থ আত্মস্যাৎ করে যে দলের প্রধান সাজাপ্রাপ্ত আসামী তাদের নেতৃত্বে এত বড় বড় তাত্ত্বিক এত বড় বড় কথা বলে, এত কিছু করে তারা এক হয়ে যায় কিভাবে। কিভাবে এক হয়ে যায় সেটাই আমার প্রশ্ন।

 

 

 

বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতিতে পুর্নবাসন করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই দলে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে? আর ১০ ডিসেম্বর যেদিন আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা শুরু করলো। ১৪ তারিখ পর্যন্ত সমানে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলো। কোন জ্ঞানী-গুণী বুদ্ধিজীবী থাকবে না। দেশটা দাঁড়াতে পারবে না সেটাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। এদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাদেরকে সমর্থন করে কিভাবে? এটা ভাবলে আমার অবাক লাগে। এরাতো ইতিহাস জানে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অপরাধটা কি? আওয়ামী লীগতো ক্ষমতায় বসে নিজে খাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ তো দেশের মানুষকে খাওয়াচ্ছে। দেশে গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে ঘর দিচ্ছি। রোগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সংবিধানে বর্ণিত মানুষের প্রতিটি মৌলিক চাহিদা আমরা পূরণ করে যাচ্ছি।
আমদানি ব্যয় বাড়ায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক জিনিস আমদানি করতে হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। সেজন্য দামও বেড়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী তেলের মূল্য ও গ্যাসের মূল বেড়ে গেছে। বিশ্বে দাম বাড়লে আমাদের কী করার আছে। 
বিদ্যুতের দাম উৎপাদনের খরচ অনুযায়ী দিতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ-গ্যাস দেওয়া আর সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে খরচ হয় তা সবাইকে দিতে হবে। গ্যাস উৎপাদনে আমাদের যে টাকা খরচ হয় এবং পরিবহন খরচ হয় তা সবাইকে দিতে হবে।
 শেখ হাসিনা বলেন, এতদিন আমাদের অর্থ ছিল, আমরা ভর্তুকি দিয়েছি। কিন্তু করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অবরোধের ফলে বিশ্বব্যাপী যে মন্দা দেখা দিয়েছে তাতে আমরাও আক্রান্ত। সুতরাং, এতদিন বিদ্যুৎ এবং গ্যাসে যে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে সেই ভর্তুক্তির টাকা এখন আপনাদের দিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ দেব আলোকিত করবো আমাদের সেই কথা আমরা রেখেছি। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি আবার প্রতি ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি কিন্তু সারাবিশে^ যখন তেলের মূল্য, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে গেল আমাদেরকেও সাশ্রয়ী হতে হয়েছে আমরা লোডশেডিং দিয়ে আমাদের দেশে সেটা সাশ্রয় করেছি। আল্লাহর রহমতে এখন আর কোন অসুবিধা নেই ইনশাল্লাহ পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৮শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গত সপ্তাহ থেকে আসা শুরু হয়ে গেছে। শিগগিরই আরো কয়েকটি পাওয়ার প্লান্ট উৎপাদনে যাবে।
কৃষিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি তিনি সকলকে সঞ্চয়ী ও সাশ্রয়ী হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের আগাম সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে সংকটের পরিস্থিতিতে না পড়ি। সেজন্য জমিতে বাগানে বা ছাদে হলেও কিছু উৎপাদন করেন।

সুত্র বাসস





ভোলা-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীরের মনোনয়নপত্র দাখিল

ভোলা-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীরের মনোনয়নপত্র দাখিল

ভোলার বোরহানউদ্দিনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ যাত্রীর

ভোলার বোরহানউদ্দিনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ যাত্রীর

ভোলায়  যৌথ অভিযানে ১টি বিদেশী পিস্তল ৩টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ২ রাউন্ড কার্তুজসহ আটক-১

ভোলায় যৌথ অভিযানে ১টি বিদেশী পিস্তল ৩টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ২ রাউন্ড কার্তুজসহ আটক-১

লালমোহনে বিএনপির বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

লালমোহনে বিএনপির বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ভোলায় নাজিম উদ্দিন আলম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

ভোলায় নাজিম উদ্দিন আলম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

লালমোহনে সফল বরই চাষি

লালমোহনে সফল বরই চাষি

ভোলা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিমের মনোনয়নপত্র দাখিল

ভোলা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিমের মনোনয়নপত্র দাখিল

সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

তারেক রহমান ও জাইমা রহমান ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত

তারেক রহমান ও জাইমা রহমান ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী

আরও...