অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ঔষধের রমরমা বাণিজ্য


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪ই ডিসেম্বর ২০২২ রাত ০৯:৫২

remove_red_eye

১০৬১




বাস্তবায়ন হচ্ছেনা ড্রাগ  নিয়ন্ত্রণ আইন

এআর সোহেব চৌধুরী, চরফ্যাশন : ভোলার চরফ্যাসনে ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন দোকানে ঔষধ বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়কসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারের অলি গলিতে নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করেই ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে শতশত ঔষধের দোকান। যার শতকরা ২০ ভাগ চলছে পৌরসভা থেকে নেয়া ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে। ছোট বড় এসব ঔষধের দোকানে প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট ছাড়া এবং চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াও অবাধে বিক্রি হচ্ছে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক,নিষিদ্ধ ঔষধ,নকল ও নি¤œমানের বিভিন্ন প্রকারের ঔষধসহ মেয়াদোত্তীর্ণ ভেজাল ঔষধ। এছাড়াও হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় যৌন উত্তেযক ঔষধ। যার ফলে রোগ নিরাময়ের চেয়ে জটিল রোগে আক্রান্ত ও আর্থিক,শারীরিক এবং মানষিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রোগী ও রোগীর পরিবারের স্বজনরা। যৌন উত্তেযক ঔষধ সেবন করে তরুন কিশোর ও যুবকরা সমাজের জন্য বোঝা হয়ে উঠছেন বলে মনে করেন কিশোর কিশোরীদের নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা। এসব ঔষধ ব্যবসায়ীরা  ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছেনা। পাশাপাশি ফার্মাসিস্ট নিয়োগ ও বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের নিয়ম নিতিও মানছেন না অনেক ব্যবসায়ী। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সড়কে শত শত ঔষধের দোকানে রয়েছে অল্প পারিশ্রমিকের অদক্ষ কর্মচারী। আর এসব কর্মচারিরাই নিজেদেও পল্লী চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগী দেখেন এবং জটিল রোগের ঔষধ বিক্রি করেন। ফার্মেসী মালিকগন আবার এসব কর্মচারিকেই হাসপাতালের রোগী ধরার দালাল হিসেবেও ব্যবহার করছেন। এছাড়াও ৪০/৫০ ভাগ কমিশনে ক্রয় করা মানহিন ভেজাল ঔষধ রোগী বা ভোক্তাদের কাছে বেশি মূল্যে (এমআরপি) বিক্রির মাধ্যমে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে ফার্মেসিগুলোর বিরুদ্ধে।
ঔষধ ক্রেতা পৌরসভার বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম জানান, আমার পরিবারের অসুস্থ্য বাবা ও ভাইয়ের জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৬হাজার টাকার ঔষধ লাগে। যা ঔষধ বাজারের ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতির সিন্ডিকেটের জন্য এমআরপি মূল্যেই কিনতে হচ্ছে। চরফ্যাশন উপজেলার সচেতন নাগরিকরা দ্রæত এসব নকল,মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি এবং ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ঔষধের দোকান বন্ধে ভোক্তা অধিকারের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের মাধ্যমে দালাল ও প্রতারক ব্যবসায়ী চক্রকে আটকের দাবি জানান। বাজারের একাধীক ঔষধ ব্যবসায়ীরা জানান,ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি। ভোলা ড্রাগ সুপার ইফ্রাহীম ইকবাল চৌধুরী বলেন,যেসকল ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স নেই তাদেরকে লাইসেন্স আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে। আর অবৈধ ভেজাল ঔষধের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে।