অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ই ডিসেম্বর ২০২২ রাত ০৯:৪৫

remove_red_eye

২৭৫


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক: ভোলা সদর উপজেলায় সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠেছে। হামলায় দুই নারীসহ ছয় জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, মো. শকিল (১৭), মো. তোফাজ্জল (৬৫), জান্নাত (৩২), আমেনা খাতুন (৫৫), মো. শেখ ফরিদ ও মো. ইউছুফ। রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিরহাট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুরুতর আহত মো. শাকিল অভিযোগ করে বলেন, শনিবার রাতে স্থানীয় শান্তিরহাট এলাকার খোকনের দোকানের কাছে যায়। সেখানে একটি দোকান থেকে সিগারেট কিনে ধুমপান করতে ছিলেন। এ সময় সেখানে থাকা তাঁর থেকে কম বয়সী একটি ছেলের সাথে সিগারেট খাওয়া নিয়ে ঝগড়া হয়। পরে সেই ছেলেটি স্থানীয় মো. জামালের ছেলে আব্দুর রহিমকে ফোন করে ডেকে আনে। পরে আব্দুর রহিম সেখানে এসে কোনো কারন ছাড়াই শকিলকে বেধম মারধর করে। এ অবস্থায় শাকিল মার খেয়ে সেখান থেকে বাড়ি চলে যায়। পরে রবিবার সকালে শাকিল বাড়ির সামনের রাস্তায় গেলে আব্দুর রহিম আবারও তাকে মারধর করতে আসে। এক পর্যায়ে শাকিলও আব্দুর রহিমকে মারধর করলে আব্দুর রহিমের মাথায় আঘাত লাগে। বিষয়টি আব্দুর রহিম বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে জানায়। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুর রহিমের বাবা জামাল, আব্দুর রহিম, তাঁর ভাই শাকিল, চাচা ইউছুফ ও বাবুলসহ ওই বাড়ির প্রায় ৩০-৩৫জন নারী পুরুষ মিলে লাঠিসোটা ও ধারালো ছুড়ি নিয়ে শাকিলদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা শাকিল, শাকিলের মা জান্নাত, নানা তোফাজ্জল, নানী আমেনা খাতুন, মামা মো. ইউছুফ ও শেখ ফরিদকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হামলাকারীরা তাদের ঘর ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ করেন শাকিল। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. জামাল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাঁরা শাকিলদের বাড়িঘারে হামলা ও কাউকে মারধর করেননি। উল্টো শাকিল তাঁর ছেলে আব্দুর রহিমকে দোকানের কাছে মারধর করেছে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন ফকির জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে কেউ এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।   





আরও...