অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


সমুদ্রের বালিয়াড়িতে হাসছেন মেসি


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২২ বিকাল ০৩:১২

remove_red_eye

২৯০

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ৭৫ গজ কাপড়। তার উপর ফুটবল ক্ষুদে জাদুকর লিওনেল মেসি মনপ্রাণ খুলে হাসছেন। স্থানীয়সহ পর্যটকরা ভিড় করছেন ফুটবল সুপারস্টারকে দেখতে। যার যার মতো ছবিও তুলছেন পছন্দের খেলোয়াড়ের সাথে। এ যেন এক এলাহী কাণ্ড। 

সাদা কাপড়ে অ্যাক্রলিক রং দিয়ে লিওনেল মেসির নান্দনিক ছবিটি এঁকে চমক দিলেন চিত্রশিল্পী তারেকুল ইসলাম। ২৫ বছর বয়সী তারেকুল ইসলামের দাবি, কাপড়ের মধ্যে হাতে আঁকা এই ছবি বিশ্বে প্রথম। 

 

৩৪ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ২২ ফুট প্রস্থ এই ছবিটিতে আকাশের সাত রং ব্যবহার করা হয়েছে। খরচ হয়েছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে হাসিঘর ফাউন্ডেশনেরর সহযোগিতায় সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ছবিটি প্রদর্শন করেন ছবির কারিগর তারেকুল ইসলাম। তিনি বগুড়া আর্ট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের চারু ও কারুকলার শিক্ষক।

তারেকুল ইসলাম বলেন, ছোটবেলা থেকে ফুটবলের ক্ষুদে জাদুকর লিওনেল মেসির ভক্ত। তার প্রতি একটা দুর্বলতা কাজ করে। চলমান কাতার বিশ্বকাপকে ঘিরে প্রিয় খেলোয়াড়ের নিজের হাতে আঁকা সবচেয়ে বড় ছবি সমুদ্রসৈকতে প্রদর্শন করেছি। 

 

তিনি বলেন, সমুদ্রসৈকতে দেশি পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকটের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। তাই মেসির ছবিটি তাদের চোখেও যেন পড়ে সে দৃষ্টিকোণ থেকে বালিয়াড়িতে এই ছবিটি প্রদর্শন করা।'

 

রামু ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফরা রুমালি অথৈ বলেন, আমি ব্রাজিল সাপোর্টার কিন্তু সেরা ফুটবলার হিসেবে মেসিকে মানি। হাতে আঁকা মেসির ছবি সৈকতে প্রদর্শন হবে জেনে ছুটে এলাম প্রিয় খেলোয়াড়কে এক পলক দেখতে। দেখে অনেক ভালো লাগছে।'

 

 

ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে আসা পর্যটক  দম্পতি মেসির ছবিটির পাশে নিজেদের ছবি তুলছিলেন। কথা হয় তাদের সাথে। হিমেল বলেন, আমি মেসির একজন ভক্ত। কিন্তু আমার স্ত্রী রেশমা ব্রাজিল সমর্থন করে। দুজনে মেসির মুগ্ধ করা ছবিটি দেখছিলাম। 

স্ত্রী রেশমা বলেন, ব্রাজিল সাপোর্ট করলেও মেসির খেলা ভালো লাগে। মেসি নিঃসন্দেহে একজন ভালো খেলোয়াড়। সমুদ্রসৈকতে তাকে এভাবে প্রদর্শন করায় ভালো লেগেছে।

 

 

ছবিটির কারিগর তারেকুল ইসলাম মিষ্টি কুমড়ার বীজে মেসির সবচেয়ে ক্ষুদ্র ছবিও এঁকেছেন।  এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ছবি এঁকে আমি শেখ হাসিনা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড–২০২২  পেয়েছি এবং এশিয়া বুক অফ রেকর্ড-এ স্থান পেয়েছে ছবিগুলো। এছাড়া আমি দুটি একক চিত্রপ্রদর্শনী করেছি। 

তারেকুল ইসলাম বগুড়ার ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ী  মো আব্দুল কাফি প্রামাণিকের ছেলে। ছবি আঁকায় হাতে খড়ি তার বড় ভাই তাজমিনুর রহমানের কাছে।