অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিনে মাছধরা ট্রলারে ডাকাতি ১৫ জেলে অপহরণ,আহত-২০


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২রা ডিসেম্বর ২০২২ রাত ০৯:০৯

remove_red_eye

২৯১

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনায় জলদস্যুরা ১৫টি মাছধরা ট্রলারে হামলা চালিয়ে মাছ-মোবাইল-নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করেছে। এসময় ডাকাতদের হামলা ২০ জেলে আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর এক জেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  এছাড়াও মুক্তিপনের জন্য ১৫ ট্রলারে মাঝি ও মালিককে অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে তজুমদ্দিনের  চরজহিরউদ্দিন ও চরমোজাম্মল এলাকার মেঘনা নদীতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু শুক্রবার সন্ধা পর্যন্ত অপহৃত জেলেদের উদ্ধারের কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি। এ তথ্য স্থানীয় ভুক্তভোগী মৎস্যজীবি ও জেলে পরিবার সুত্রের।
ডাকাতদের হামলার শিকার হয়ে ফিরে আসা জেলে রফিক স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান,  তজুমদ্দিন উপজেলারলাকার ১৫টি মাছধরা ট্রলার মেঘনা নদীর চরজহিরউদ্দিন ও চরমোজাম্মল এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে নদী মাছ ধরছিলো। হঠাৎ করে রাতের জলদস্যু বাহিনী ঘুমন্ত জেলেদের মাছ ধরারত ১৫ টি ট্রলারে হানা দিয়ে জেলেদের মারধর করে। এসময় জলদস্যুদের এলোপাতারি মারপিটে জেলে রফিক, মন্নান, আলম, মিরাজ,কালামসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়। এক পর্যায়ে ডাকাত দল জেলেদের ট্রলারের মাছ-জাল মোবাইল নগদ টাকা  সহ মালামাল লুট করে । এ সময়  মহিষখালী ও শশীগঞ্জ মাছ ঘাটের সিরাজ মেম্বারের আরতের হান্নান মাঝি, মহিউদ্দিন পোদ্দারের আরতের লোকমান মাঝি, আমিন মহাজানের আরতের মিরাজ মাঝী, বাবুল মীরের আরতের হাশেম মাঝি, মনির তালুকদারের আরতের আরিফ মাঝি, মিজান দালালের আরতের আলাউদ্দিন ও হাসান মাঝি, নূরনবী দালালের আরতের সালাউদ্দিন মাঝী,  আলাউদ্দিন দালালের আরতের ইউসুফ মাঝীসহ ১৫ জন মাঝি ও নৌকার মালিককে মুক্তিপনের দাবিতে  অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ফোন করে পরিবারে সদস্যদের কাছে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবী করে বলে স্থানীয় ভাবে জানা গেছে। এছাড়া আহত জেলেরা পরে তজুমদ্দিন ফিরে আসে। এর মধ্যে ১ জনকে হাসপাতাতে ভর্তি করার খবর পাওয়া গেছে।
তজুমদ্দিন কোস্টগার্ডের পেটি অফিসার মতিউর জানান, ওই ঘটনায় তাদের কাছে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে শুনেছেন। পরিবারের কেউ আসেনি।তবে আমাদের মতো  করে খোঁজ নিচ্ছি।
ভোলার হাকিমুদ্দিন নৌ-পুলিশ ফাঁিডর ওসি শরিফুল ইসলাম জানান,  জেলেদের  অপহরণের খবর লোক মুখে শুনেছি। তার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে এখনো কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি । অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনো অভিযোগ আসেনি।
এদিকে জলসদ্যুদের হাত থেকে রক্ষায় রাতের অরক্ষিত মেঘনায় কোস্টগার্ড-নৌ-পুলিশের টহলের দাবী জানিয়েছে উপকূলের মৎস্যজীবী জেলে ও  আড়তদাররা।