অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনের দুই ইউনিয়নে শেষ  সময়ে জমজমাট প্রচারণা


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৫শে নভেম্বর ২০২২ রাত ০৯:৪৯

remove_red_eye

৩২২


এআর সোহেব চৌধুরী, চরফ্যাশন: ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে ভোটের মাঠে লেগেছে হাওয়া। তোরজোড়ে চলছে প্রচারণা। প্রতিক বরাদ্দের পর থেকে চরফ্যাশন উপজেলার ইউপি নির্বাচনী প্রচারণায় পাড়া মহল্লা ও হাটবাজারসহ উঠান বৈঠকে চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্য প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারেদ্বারে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। সকাল সন্ধ্যা কুয়াশা-মাখা শীতকে উপেক্ষা করে জনগনের কাছে দোয়া ও সমর্থনে ভোটের গন্তব্যে ছুটছেন প্রার্থীরা ও কর্মী সমর্থকরা। আগামী ২৮নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ও ওমরপুর ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেষ পর্যায়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। আসলামপুর ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী নুরে আলম মাস্টার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কাশেম মিলিটারি এবং ওমরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম  রিজনসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। আঞ্চলিক পর্যায়ে নানানরকমের উন্নয়ন করার  প্রতিশ্রææতি দিয়ে নির্বাচনী পোস্টার, লিফলেট ও নৌকা এবং আনারস প্রতিক নিয়ে প্রচার প্রচারণা করছেন এ দুই ইউনিয়নের প্রার্থীরা। প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাড়ির উঠোনে বসে উঠান বৈঠক। আসলামপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের পক্ষে উঠান বৈঠকে নৌকার প্রার্থী নুরে আলম মাস্টার ইউনিয়নের প্রান্তিক পর্যায়ের ভোটারদের দ্বারেদ্বারে সরকারের উন্নয়নসহ সকল ধরনের সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন,দীর্ঘ এক যুগ ধরে এই ইউনিয়নে নির্বাচন বন্ধ ছিলো। আসলামপুর ইউনিয়নের ভৌগোলীক সীমানা নির্ধারণে জটিলতা নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলে। দীর্ঘদিনের এ মামলার রায় পরবর্তী এই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যার ফলে আসলামপুর ইউনিয়নের সন্তান হিসেবে তিনি এই অঞ্চলের অবহেলিত মানুষের দোরগোড়ায় বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নমূলক সেবা পৌছে দিবেন বলে ভোটারদের কাছে দোয়া ও সমর্থনসহ নৌকা প্রতিকে ভোট চান। ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,আমি এই এলাকার সন্তান।বাঁচলেও এই মাটিতে বসবাস করব।মরলেও এই মাটিতেই আমাকে সমাহিত করা হবে। আর তাই মাটি ও মেহনতি মানুষের উপকারে যেন কাজ করে যেতে পারি সেজন্য আমাকে নৌকা প্রতিকে আপনারা ভোট দিবেন। আমি বিশ্বাস করি এই অঞ্চলের মানুষ আঞ্চলিকতার দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে ২৮তারিখের নির্বাচনে আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করবেন। অন্যদিকে ওমরপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র আনারস প্রতিকের প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম অবিভক্ত আসলামপুরে (বর্তমানে বিভক্ত দুইটি ইউনিয়ন) দীর্ঘ এক যুগের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন গ্রামীণ জনপদের মাটি ও মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দিতে তিনি স্থানীয় সাংসদের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে  ভোটারদের পাশে থেকে কাজ করেছেন। যার ফলে বৃহৎ এই ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, ব্রীজ, মসজিদ মাদ্রাসাসহ নিরাপদ সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে প্রত্যেক পাড়া মহল্লাসহ  হাটবাজারের অলিগলিতে গভীর নলকূপ স্থাপন এবং নারী পুরুষ ও বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা,প্রতিবন্ধী এবং ছিন্নমূল/এতিম শিশুদের ভাতার আওতায় আনার জন্য প্রান্তিক মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন দাবি করেন। যার ফলে আগামী ২৮নভেম্বরের নির্বাচনে জয়যুক্ত হলে ওমরপুর ইউনিয়নের ভোটারসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে আরও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আনারস প্রতিকে ভোট চেয়ে পথসভা ও উঠান বৈঠকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেরাচ্ছেন এই প্রার্থী। অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ওমরপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম রিজন ও আসলামপুরের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাশেম মিলিটারি আনারস প্রতিকে ভোটের মাঠে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা জানান,প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ভোটারদের কাছে ভোট ও সমর্থন চেয়ে বেড়াচ্ছেন। পাশাপাশি তাদের কর্মী সমর্থকরাও মাইকিং ও লিফলেট   বিতরণের মাধ্যমে ভোটের মাঠে কাজ করছেন। আনারস প্রতিকের প্রার্থী কাশেম মিলিটারি জানান,তিনি আসলামপুরের মানুষের উন্নয়নে ভোটারদের সুখেদুখে পাশে থেকে দীর্ঘদিন ধরে নানান সেবা মূলক কাজ করেছেন। নির্বাচনে জয়লাভ করলে ইউনিয়নকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা প্রনয়ণের পাশাপাশি উপকূলীয় মানুষের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌছে দিতে কাজ করবেন। তিনি আরো জানান, এলাকার কৃষক শ্রমিকের উন্নয়নে তিনি নানান ত্যাগের বিনিময়ে মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। যার ফলাফল ভোটের মাঠে বিপুল ভোটের মাধ্যমে তিনি জয়লাভ করার আশা করেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন প্রশাসন নির্বাচনী মাঠে কাজ করবেন।ভোটাররা যেন নিরাপদে ভোট দিতে পারেন এজন্য নিরাপদ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে  একটি উৎসব মুখোর ভোটের পরিবেশ থাকবে। এছাড়াও ভোটাররা যেন ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারেন সে লক্ষ্যে ভোট গ্রহণে কর্মরত ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।