অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন গ্রিল ভেঙে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩শে নভেম্বর ২০২২ রাত ০৯:২৪

remove_red_eye

২৮৮



চরফ্যাশন প্রতিনিধি:  ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চরফ্যাশন সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক মিটারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার গ্রিল ভেঙে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডে তেমন কোনো ক্ষতি না হলেও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে দোতলা থেকে তারাহুরা করে নামতে গিয়ে অন্তত ৩০জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। বুধবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চরফ্যাশন বাজারের উত্তর মাথায় অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরের দিকে প্রতিদিনের ন্যায় বিদ্যালয়টিতে শ্রেণি কার্যক্রম চলছিল। হঠাৎ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার সিড়ির গোড়ায় অবস্থিত বৈদ্যুতিক মিটার থেকে শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুন লাগে। এতে বিদ্যালয়ে ধোয়ায় অন্ধকার হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে চরফ্যাশন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে স্থানীয়দের সহযোগীতায় দোতলার বারান্দার গ্রিল ভেঙে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে আনেন। ততক্ষণে আগুন নিভে যায়। আগুন লাগার খবরে বিদ্যালয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা হুরোহুড়ি করে দোতলা থেকে নামতে গিয়ে হাতে পায়ে আঘাত পেয়ে অন্তত ৩০জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অভিভাবকরা বাড়ি নিয়ে গেছেন।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান ও পৌর মেয়র এম মোরশেদসহ শিক্ষা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
এ কাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, চরফ্যাশন পৌরসভা ৪নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এ প্রাথমিক বিদ্যালয়টির বারান্দা লোহার গ্রীল দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে। যার ফলে আগুন লাগার খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা নামতে গিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এছাড়াও পুরনো বৈদ্যুতিক মিটার, কাটাউট ও জরাজীর্ণ তারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হয়ে মিটারে আগুন লেগে পুড়ে যায়। দীর্ঘ দিন বিদ্যালয়ের এসকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সংস্কার করা হয়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.নিজাম উদ্দিন জানান, তিনি আগুন লাগার সময় শ্রেণি কক্ষে ছিলেন। আগুন লাগার খবরে আতঙ্কিত হয়ে শিক্ষার্থীরা ছোটাছুটি শুরু করে। তবে শিক্ষার্থীরা ভালো আছে তেমন কেউ আহত না হলেও দৌড়াতে গিয়ে কয়েজন পড়ে হাত পায়ে সামান্য ব্যাথা পেয়েছে।
চরফ্যাশন ফাযার সর্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, অগ্নিকাÐের সময় তাঁরা বিদ্যালয়ের কাছাকাছি ছিলেন। খবর পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিদ্যুতের কাটাউট খুলে ফেললে আগুন নিভে যায়। দোতলার সিড়ির গোড়ায় আগুন লাগায় দোতলায় থাকা শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে  তাদের উদ্ধার করা হয়।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হয়নি। বিদ্যালয়ে প্রায় এক হাজার  শিক্ষার্থীর মধ্যে সকলেই সুস্থ্য আছে। বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কেনো সংস্কার করা হয়নি সে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।