অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


ভোলার ৭ উপজেলায় মডেল মসজিদ  নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে


হাসনাইন আহমেদ মুন্না

প্রকাশিত: ২২শে নভেম্বর ২০২২ রাত ০৯:৪৩

remove_red_eye

২৪১

হাসনাইন আহমেদ মুন্না: ভোলা জেলার ৭ উপজেলায় ৮৮ কোটি ৬৫  লাখ টাকা ব্যয়ে ৭টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’র নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে এসব মসজিদের ৮৫ ভাগ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৭০ ফিট বাই ১১০ ফিট স্থানের উপর মসজিদগুলো নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগ। এর মধ্যে উপকূলীয় এলাকার বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরার মসজিদগুলো নিচতলা ফাঁকা রেখে ৪তলা পর্যন্ত এবং সদর, দৌলতখান, লালমোহন এবং তজুমদ্দিনের মসজিদ হচ্ছে ৩ তলা বিশিষ্ট। এছাড়া জেলা শহরের জন্য প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪তলা বিশিষ্ট একটি মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ শিগ্রই শুরু করা হবে।
এসব মসজিদের প্রথম তলায় প্রতিবন্ধিদের জন্য নামাজের ঘর, মরদেহ গোসল ঘর, পানি সংরক্ষণ ঘর, গার্ড রুম, ইসলামিক বুক সেলফসহ বিভিন্ন সুবিধা থাকছে। দ্বিতীয় তলায় প্রধান নামাজের স্থান, অফিস কক্ষ, ইসলামিক রিসার্চ এন্ড অটিজম কেন্দ্র, মিটিং রুম ইত্যাদী থাকছে। তৃতীয় তলায় ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা নামাজ ঘর, গেষ্ট রুম, ইসলামিক গ্রন্থাগার, টয়লেট জোন ও স্টাফদের রুম রয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগ জানায়, ইতোমধ্যে সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট এলাকায় ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’র উদ্বোধন হয়েছে। ১২ কোটি ২৩ লাখ টাকায় তজুমদ্দিন ও লালমোহন উপজেলায় ১২ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে মসজিদ দুটির নির্মাণ কাজ প্রায় শতভাগ সম্পন্ন। এছাড়া বোরহানউদ্দিনে ১২ কোটি ২১ লাখ টাকা ও চরফ্যাশনে ১৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ কাজের অগ্রগতি প্রায় ৮৫ ভাগ করে। আর ১৩ কোটি ২০ লাখ টাকায় দৌলতখানের মসজিদ’র কাজ শেষ হয়েছে ৬০ ভাগ ও ১৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকায় মনপুরায় কাজের আগ্রগতি ৪৫ ভাগ।
জেলা গণপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ. এস মুসা জানান, এসব মসজিদের মধ্যে তজুমদ্দিন ও লালমোহন উপজেলার দুটি আগামী ডিসেম্বর মাসে উদ্বোধন করা হবে। আগামী বছরের মার্চে চালু হবে বোরহানউদ্দিন ও চরফ্যাশন উপজেলার মসজিদ দুটি। এছাড়া দৌলতখান ও মনপুরা উপজেলার মসজিদ নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। একইসাথে এবছরের ডিসেম্বর মাসে জেলা সদরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরো বলেন, এসব মসজিদ নির্মাণের ফলে উপজেলা পর্যায়ের সকল মসজিদ মডেল মসজিদের আওতায় থাকবে। ফলে কেউ আর নিজের মনমত ধর্মের অপব্যখ্যা দিতে পারবেনা।
জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক এম মাকসুদুর রহমান বলেন, ধর্মীয় গোড়ামী, অপব্যাখ্যা রোধ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে এসব মসজিদ। একইসাথে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ইসলামিক ভাবধারা উজ্জিবীত করতে সহায়তা করবে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তাই মসজিদ নির্মাণ সরকারের একটি সঠিক স্বিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তিনি।





আরও...