অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাসনের আছলামপুর ইউপির নির্বাচন নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-১৩


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫ই নভেম্বর ২০২২ রাত ১০:০৩

remove_red_eye

৩৪৪




চরফ্যাশন প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আছলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে। এসময় উভয় পক্ষের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উভয় পক্ষই অভিযোগ করেছেন। আহতদের মধ্যে রাসেল জমাদার নামের একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৮টায় ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বদ্দারহাট বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম মেলেটারী অভিযোগ করে বলেন, তিনি আছলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে প্রচারণার অংশ হিসেবে সোমবার রাতে ইউনিয়নের বদ্দারহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে চলে বাড়ি চলে যান। এসময় প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতিকের প্রার্থী নুরে আলম মাস্টারের দুই ভাইসহ আরো প্রায় ২০-২৫ জন কর্মী এসে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালায়। এসময় কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও সেখানে থাকা তাঁর কর্মী আব্দুর রাজ্জাক, মাকসুদ, মনির উদ্দিন, লোকমান ও সুমনসহ ৬-৭জনকে মারধর করে আহত করে। এদের মধ্যে  ৫ জনকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী  কাশেম মেলেটারী বহিরাগত লোকজন ও সন্ত্রাসী নিয়ে বাজার দিয়ে মিছিল করে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে রাখা কাঠের তৈরী একটি প্রতিকী নৌকাকে ফেলে দেয়। পরে সেখানে থাকা রাসেল জমাদার নামের ছাত্রলীগের এক কর্মী প্রতিবাদ করলে কাশেম মেলেটারীর এক কর্মী তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাম পায়ের রগ কেটে জখম করে। এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে। এছাড়াও সেখানে থাকা হেলাল, আব্বাস, আল আমিন, জাহের, জামাল ও নোমানকে মারধর করে আহত করে। পরে স্থানীয় নৌকার কর্মী-সমর্থকরা তাদেরকে ধাওয়া করলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোনো নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়নি। তারা নিজেরা নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে অন্যকে মিথ্যা দোষারোপ করছে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় পক্ষকে ডেকে নির্বাচনী আচারণবিধি মেনে প্রচার প্রাচারণা চালাতে বলা হয়েছে এবং কোনো প্রকার সহিংসতা না করার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।  এছাড়াও উভয় পক্ষকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।  অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।