অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভয়াল ১২ নভেম্বরে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন ভোলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ই নভেম্বর ২০২২ রাত ১০:২০

remove_red_eye

৩০৪


১৯৭০ সালের ভয়াল ১২ই নভেম্বর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস, তৎকালীন ভোলা মহকুমার ৭টি থানায় প্রবল বেগে আছড়ে পড়েছিল। পশ্চাৎপদ জনপদ এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার না থাকায় মানুষ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস সম্পর্কে পূর্ব থেকে কোন সতর্কবার্তা পায়নি। যার জন্য বেড়িবাধ হীন এই ভোলা ও অদূরবর্তী দ্বীপসমূহের জনগণ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারেনি। প্রায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত ঘূর্ণিঝড় হেরিকেন ও ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস মূহুর্তে ভোলার নিন্মাঞ্চল কে গ্রাস করে। কোন কিছু বুঝে ওঠার পূর্বেই রাতের আঁধারে লক্ষ লক্ষ অসহায় মানুষের সলিল সমাধি হয়। লক্ষ লক্ষ নর-নারী, বৃদ্ধ ও শিশু এবং গবাদি পশু পানির তোড়ে সাগরে ভেসে যায়। বসতবাড়ী ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। মেঘনা পাড়ের অনেক জনপদ বিরান ভূমিতে পরিণত হয়। নদী ও খালে নর-নারীসহ জীব-যন্তুর মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়।
পরদিন সকাল ১১টায় প্রাক্তন মন্ত্রী ও ভোলার গণমানুষের নেতা, জনাব মোশারেফ হোসেন শাজাহান রতনপুরের দিকে যান এবং রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য মৃতদেহ দেখতে পেয়ে তার মন বিষন্ন হয়ে যায়। তিনি রতনপুর বাজারের উঁচু দিঘির পাড়ে অসংখ্য মৃহদেহ দাফনের ব্যবস্থা করেন। প্রায় ৬দিন পর্যন্ত ভোলা বহির্বিশ্বের সাথে বিচ্ছিন্ন ছিল। তারপর স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কল্যাণে এই ধ্বংসযজ্ঞের কথা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে এবং উদ্ধারকার্য শুরু হয়।
অনেকের মতে এই ভয়াল রাত্রে সমগ্র ভোলায় ৫ লক্ষের অধিক আদম সন্তান মৃত্যু বরণ করেন। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সঠিক সময়ে সংবাদ না পাওয়ার কারণেই এত বিপুল সংখ্যক নর-নারী ও জীব-যন্তুর মৃত্যু ঘটেছিল। সত্তরের গোর্কিতে প্রাণ হারানো ঐ সকল অসহায় মানুষের আত্মার মাগফিরাত কামনা সহ তাদের স্মৃতির প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি





আরও...