অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধের পর এবার অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ধর্মঘট


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ঠা নভেম্বর ২০২২ রাত ১০:৩৫

remove_red_eye

৭০৮



যাত্রীদের চরম  দুর্ভোগ

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক :  দ্বিতীয় দিনের মত শুক্রবার ভোলা-বরিশাল রুটে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। এছাড়াও ভোলা-চরফ্যাসনসহ অভ্যান্তরিনসহ সকল রুটে ৪৮ ঘন্টার বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এত করে চরম  ভোগান্তিতে পড়েছে  লঞ্চ ও বাসে চলাচলকারী সাধারন যাত্রীরা। সকল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভোলার ভেদুরিয়া  লঞ্চঘাট ও ভোলার বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ডে অসংখ্যা যাত্রী তাদের গন্তব্যে যেতে না পেরে অপেক্ষায় থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে বরিশালগামী কোন লঞ্চ নেই। এমনকি স্প্রীড বোটও ছাড়ছে না।  তবে অসুস্থ্য ও বিশেষ প্রয়োজনে কিছু যাত্রী স্প্রীডবোটে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বরিশাল গিয়েছে। লঞ্চচলাচল বন্ধের ব্যাপারে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সু স্পষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপর দিকে ভোলার মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, ভোলা থেকে চরফ্যাশনের উদ্দেশ্যে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে স্ট্যান্ডের সামনে থেকে মাইক্রোবাস ও সিএনজি চলাচল করতে দেখা গেছে। ভোলা থেকে চরফ্যাশনের বাস ভাড়া ১২০ থেকে ২০০টাকা হলেও মাইক্রোবাস ও সিএনজিতে ৩০০ থেকে ৪০০টাকা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। অতিরিক্ত ভাড়ার কারতে অনেক যাত্রী বাস স্ট্যান্ড থেকে ফিরে গেছেন।
যাত্রী মো. সাহাদ জানান, তিনি জরুরী কাজে পরিবার নিয়ে ভোলা থেকে চরফ্যাশন যাওয়ার জন্য বাস স্ট্যান্ডে এসেছেন। তবে এখানে এসে দেখেন বাস বন্ধ। এখন অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাসে করে চরফ্যাশন যাচ্ছেন।
যাত্রী আমেনা বেগম জানান, তিনি পাতারহাট থেকে চরফ্যাশন যাওয়ার জন্য ভোলা বাস স্ট্যান্ডে এসেছেন। কিন্তু বাস না পেয়ে এখানে আটকা পড়েছেন। মাইক্রো ও সিএনজি ৩০০-৪০০ টাকা ভাড়া চায় কিন্তু এতো টাকা তার কাছে নেই। তাই নিরুপায় হয়ে বাস স্ট্যান্ডে বসে রয়েছেন।
আরেক যাত্রী  জানান, শুক্রবার ঢাকা থেকে অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভোলার বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকে রোগী দেখতে আসেন। এতে করে ভোলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শত শত রোগী শুক্রবার চিকিৎসা নিতে ভোলায় আসেন। কিন্তু করে বাস বন্ধ করে দেয়ার এসকল রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মালিক সমিতির উচিত ছিলো আরো ৩-৪ দিন আগেই এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া।
ভোলা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম জানান,  মহাসড়কে থ্রি-হুইলার (তিন চাকার যানবাহন) চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ভোলায় সেটি মানা হচ্ছে না। তারা দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনের কাছে এ থ্রি-হুলার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসলেও সেগুলো এখনো বন্ধ হয়নি। তাই সমন্বয় পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। এছাড়াও লঞ্চ বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বরিশালে বিএনপির মহা সমাবেশে যেতে পারছেনা বলে দলের নেতাকর্মীরা জানান।





আরও...