অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় সালিশীতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ আহত ১৫


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩শে নভেম্বর ২০১৯ রাত ০৮:২১

remove_red_eye

৭১৪

জুয়েল সাহা ।। ভোলায় জুয়া খেলা নিয়ে মারধরের ঘটনার সমঝোতা সালিশী মধ্যে দু’গ্রæপের মধ্যে সংর্ঘষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। শনিবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের রৌদের হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে অথাৎ বুধবার (২০ নভেম্বর) জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে রাজাপুরের ইউনিয়নের খালেক গ্রæপের হারুন ও পশ্চিম ইলিশা ১ নং ওয়ার্ডের মামুন গ্রæপের মামুনের মধ্যে মারামারি হয়। ওই ঘটনা মিমাংসার জন্য শনিবার সকালে দু’গ্রæপের মধ্যে সমঝোতার জন্য রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খাঁন ও পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের গণমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে রৌদের হাট বাজারে বসেন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে আগামী শনিবার (৩০ নভেম্বর) চূড়ান্ত সালিশীর তারিখ নির্ধারন করা হলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে সংর্ঘষ বাঁধে। এতে উভয় গ্রæপের ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সিরাজ, আমির, জহির, মামুন, আলাউদ্দিন, আল আমিন, ইব্রাহীম ও দুলালের নাম পাওয়া গেলেও বাকীদের নাম পাওয়া যায়নি।
আহত মামুন জানান, আমরা সমঝোতার জন্য গেলে খালেক গ্রæপের লোকজন আমাদের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক দেশী অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
রাজাপুর ইউনিয়নের মিজানুর রহমান খাঁন জানান, সকালে সমঝোতার বিষয়ে আমরা উভ পক্ষেকে নিয়ে বসে একটি তারিখ নির্ধারন করি। এসময় হঠাৎ উভয় গ্রæপের মধ্যে সংর্ঘষ বাঁেধ। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন চার্জ রতন কুমার শীল জানান, খবর পেয়ে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তিনি আরো জানান, দু’গ্রæপের কেউ এখনও কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।