অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাসনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ ছাত্র নিহত


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬ই অক্টোবর ২০২২ রাত ০৯:৫৮

remove_red_eye

৩২১



ইব্রাহিম আকতার আকাশ : গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভাইয়ের এপাচি মোটরসাইকেল নিয়ে প্রাইভেট পড়তে যায় মো. রাশেদুল ইসলাম (১৬)। সঙ্গে ছিল তাঁর আরো দুই সহপাঠী। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রাইভেট পড়া শেষ করে দুই সহপাঠীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন রাশেদ। মোটরসাইকেলটি চরফ্যাশন-দুলারহাট সড়কের বশরত উল্লাহ চৌমুহনী নামক জায়গায় গিয়ে পৌঁছালে বেপরোয়া গতি নিয়ে সড়কের পাশে থাকা একটি ট্রলিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাশেদুল ইসলামের মৃত্যু। মুমূর্ষু অবস্থায় মো. ইসমাইল (১৬) ও আরমান হোসেনকে (১৫) উদ্ধার করে বরিশাল শেরে-বাংলা (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। কিন্তু চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে দু'জনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিনগত রাতে ইসমাইল হোসেনের মৃত্যু হয়। আহত আরমান হোসেন রয়েছেন চিকিৎসাধীন অবস্থায়। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
নিহত রাশেদুল ইসলামের মামা আব্দুল হালিম ও চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরাদ হোসেন রবিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত রাশেদ ও ইসমাইল চরফ্যাশন উপজেলা আমিনাবাদ ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নসু মিয়া ও মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে এবং আহত আরমান একই গ্রামের মো. লোকমান হোসেনের ছেলে।
তাঁরা ৩ সহপাঠী চরফ্যাশন উপজেলা কচুখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, রাশেদুল ইসলাম বেপরোয়া গতি নিয়ে মোটরসাইকেলটি চালিয়েছিল। যাঁর ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রলির সঙ্গে মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগে। গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে থাকায় ট্রলির সঙ্গে ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এবং ঘটনাস্থলের কাছ থেকে প্রায় ৯-১০ হাত দূরে গিয়ে সড়কে ছিটকে পড়েন তাঁরা।
ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত ইসমাঈলের চাচাতো ভাই আরিফুর রহমান আমজাদ জানান, ঘটনাস্থলেই রাশেদ নিহত হওয়ার পর ইসমাইল ও আরমানকে দ্রæত সময়ের মধ্যে বরিশাল শেরে- বাংলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেবাচিমে গিয়ে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে সেখানে ভর্তি না করিয়ে ঢামেকে নিয়ে যেতে বলেন। রাত আড়াইটার দিকে ঢামেকে তাদেরকে ভর্তি করা হলে ভর্তির কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইসমাইলের মৃত্যু হয়। এখনো আরমান ঢামেকে ভর্তি আছে। তাঁর এখনো জ্ঞান ফেরেনি। তাঁর দুই হাত, দুই পা, বুক, নাক ও গলায় প্রচÐ আঘাত লেগেছে। মাথার খুলি ভেঙে ভিতরে ডুকে গেছে। আজ রবিবার দুপুর দুইটার দিকে তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করা হবে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরাদ হোসেন জানান, নিহত রাশেদুল ইসলামের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় গতকালই তাঁর স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখনো ইসমাঈলের লাশ চরফ্যাশন এসে পৌঁছায়নি। এবং এ ঘটনায় কারো পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি।