অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


নুসরাত হত্যার বিচারের দাবিতে ভোলায় ছাত্রীদের মৌন মানববন্ধন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯শে এপ্রিল ২০১৯ রাত ১২:৫৪

remove_red_eye

৫৯২

এম শরীফ আহমেদ \ আমার বোন মৃত সিরাজ কেন জীবিত? “শিশু ধর্ষণ আর নয়, শিশু কোনো পণ্য নয়” আমার বোন পুড়ছে, ধর্ষক সিরাজ কেন হাসছে?  “আমি  নারী, এই সমাজে আমি কি নিরাপদ? এরকম নানা প্রতিবাদ প্লেকার্ড হাতে নিয়ে শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে ভোলায় মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন  করছে ন্যাশনাল চিলড্রেন’স্ টাস্কফোর্স(এনসিটিএফ)।

বৃহস্পতিবার সারা দেশের ন্যায় এনসিটিএফ ভোলা জেলা কমিটি  বেলা ১১টায় ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ  মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।

মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শারমিন জাহান শ্যামলী, ভোলা জেলা ন্যাশনাল চিলড্রেন’স্ টাস্কফোর্স সমন্বয়কারী আশিকুর রহমান শান্ত ও রিমা আক্তার শিমু,এনসিটিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক ও ভোলা জেলা সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস মিম,এনসিটিএফ ভোলা জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সৌরভ সুতার, জেলা শিশু বিষয়ক সাংবাদিক জান্নাতুল ফেরদাউস, শিশু সাংবাদিক জোবায়ের রহমান প্রিন্স,  চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার আকাশ সুতার,     সাংগঠনিক কমিটি ও স্কুল কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল চিলড্রেন’স্ টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ)দেশজুড়ে শিশু অধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে দেখা যাচ্ছে শিশুদের প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের হার বেড়েই চলেছে। পত্র-পত্রিকা খুললেই শিশু নির্যাতন এবং শিশুর প্রতি সহিংসতার খবর আমরা প্রতি নিয়তই দেখতে পাচ্ছি। এসব নির্যাতনের খবর দেখে শিশুরা আতংকিত হয়ে পড়ছে। জানুয়ারি ২০১৮ হতে ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত বিভিন্ন পত্র প্রত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে আমরা দেখেছি ৫২৭ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আর এ বছর জানুয়ারি হতে মার্চ পর্যন্ত ১৪৫ জন শিশু ধর্ষণ ও ৪১৪ জন শিশু অন্যান্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর প্রথম তিন মাসেই শিশু ধর্ষণ আরো বেড়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এনসিটিএফ ৬৪ জেলায় একযোগে প্রতিবাদ কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

নারীর প্রতি নিপীড়নরোধে ইসলামের মূল্যবোধ জাগ্রতসহ ধর্মীয় মূল্যবোধ বৃদ্ধির চেষ্টা, নারীনির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন, ধর্ষণের শাস্তির বিধান মৃত্যুদণ্ড ও ধর্ষণ মামলা পরিচালনার জন্য আলাদা আদালত গঠনের দাবি উত্থাপন করা হয়।

পরে মৌন প্রতিবাদ শেষে  জেলা প্রশাসকে স্মারকলিপি প্রদান করে প্রধানমন্ত্রীকে দেয়ার জন্য।