অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


লালমোহনে এক কক্ষে দুই শ্রেণির পাঠদান!


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪শে এপ্রিল ২০১৯ রাত ০৯:৩৮

remove_red_eye

৫৩৯

লালমোহন প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ১১৫ নং মধ্য রায়চাঁদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারণে এক কক্ষের ভিতর দুই শ্রেণির পাঠদান করা হচ্ছে। ১৯৮৪ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৮ সালে স্কুলটির জন্য একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যালয়টি সংস্কার করা হয়নি। যার ফলে বিদ্যালয়ের তিনটি কক্ষের ভিতর একটির অবস্থা অত্যান্ত নাজুক হয়ে পড়ায় অন্য দুই কক্ষে প্রথম শিফটে এক রুমে শিশু ও প্রথম শ্রেণি, দ্বিতীয় শিফটে তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। যার কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান শিক্ষকরা। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১১৫ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন শিক্ষক রয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আছমা, তামান্না, সুইটি, শাকিল ও রাফেজ জানায়, আমাদের বিদ্যালয়টির খুবই খারাপ অবস্থা। বর্ষার সময় ক্লাসের ভিতর পানি পড়ে বই-খাতা ভিজে যায়। এর মধ্যে একটি ক্লাসের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় সেখানে আমাদেরকে শিক্ষকরা পড়াতে পারে না। যার জন্য আমাদের একটি রুমের ভিতর দুই শ্রেণির পাঠদান করাচ্ছেন স্যাররা। যার কারণে আমাদের পড়ায় মন বসছে না।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জিৎ কুমার মৃধা বলেন, প্রতি বছরই আমাদের বিদ্যালয় থেকে ছাত্র/ছাত্রীরা সন্তোষজনক ফলাফল অর্জণ করছে। তবে প্রতিদিনই আমাদের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে গিয়ে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। কারণ আমাদের বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে রয়েছে কয়েক বছর ধরে। উপজেলা শিক্ষা অফিসেও কয়েকবার বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হলেও তারা প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। যার ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা পড়েছি চরম বেকায়দায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের এই ভবনের মধ্যেও পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। এই বিদ্যালয়ে তিনটি ক্লাস রুম রয়েছে। যার মধ্যে একটি রুমের অবস্থা অত্যান্ত নাজুক হওয়ায় সেখানে ক্লাস করানো যাচ্ছে না। যার কারণে সকালে শিশু শ্রেণি ও প্রথম শ্রেণি এবং দুপুরে তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক রুমের ভিতর ক্লাস করাতে হচ্ছে। যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। অতি শিগগিরই যদি এ সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয়, তাহলে বিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান ক্ষুন্ন হবে।
এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আইয়ুব আলী বলেন, আমি এখানে নতুন। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের তালিকা করেছি। তা পাশ হলেই এ সমস্যা সমাধাণ হবে বলে মনে করি।