অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় ২ লাখ ৮ হাজার শিশুকে দেয়া হবে করোনার টিকা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ই অক্টোবর ২০২২ রাত ০৯:৩৩

remove_red_eye

৩৪২




ইকরামুল আলম :  সারা দেশের ন্যায় ভোলা জেলাতেও শুরু হয়েছে শিশুদের করোনা টিকাদান কার্যক্রম।  মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকাল থেকে ভোলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। ১৩ দিনে জেলায় মোট ২ লাখ ৮ হাজার শিশুকে এ টিকার আওতায় আনা হবে। এদের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৯৪ হাজার ও কমিউনিটি পর্যায়ে ১৪ হাজার। প্রথম ১২দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা টিকা দেয়া হবে এবং এক দিন কমিউনিটি পর্যায়ে শিশুদের টিকা দেয়া হবে। এদিকে শিশুদের করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শিক্ষক ও অভিবাবকরা।

মঙ্গলবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার কয়েকটি টিকাদান কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, শিশু শিক্ষার্থীরা আগ্রহের সাথে করোনাটিকা নিচ্ছেন। প্রথমে অনেকে মনে ভয় কাজ করলেও দুই একজনকে টিকা দেয়ার পর সে ভয় কেটে গেছে। কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সন্তানদের টিকা দিতে পেরে খুশি অভিবাবকরাও।

সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ১৬নং চরপাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী হাসনাইনের মা সাহানাজ বেগম জানান, তিনি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে অনলাইনে আবেদন করে করোনার টিকা দিয়েছেন। কিন্তু তার ছেলের বয়স কম হওয়ায় তাকে করোনার টিকা দিতে পারেন নাই। বিষয়টি নিয়ে তিনি চিন্তিত ছিলেন। আজকে স্কুলে জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি দিয়ে টিকা দিতে পেরে তিনি চিন্তা মুক্ত হয়েছেন। সাহানাজের মতো অন্য অভিবাবকরাও শিশুকে টিকা দিতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
একই ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রিতু আক্তার জানান, সে টিকা নিয়েছেন। তবে টিকা দেওয়ার সময় তেমন ব্যাথা অনুভব করেনি।
১৬ নং চরপাতা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিম জানান, টিকা দেওয়া আগে টিকার কথা শুনলেও ভয় পেত সে। কিন্তু আজকে টিকা নিতে গিয়ে শিক্ষকরা পাশে থাকায় ভয় লাগেনি।
সদর উপজেলা পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা ইসলামী দাখিল মাদরাসা ও ১৬নং চরপাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিকাদান কেন্দ্রের সুপারভাইজার মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, তাঁর নেতৃত্বে দুইটি কেন্দ্রে ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী শিশুদের টিকা দেওয়ার কাজ করছেন। প্রথম দিনে স্কুল কেন্দ্রে ৩১৬ ও মাদরাসা কেন্দ্রে ১৯১ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দুুপর ১২টা পর্যন্ত ৬০ শতাংশ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছেন।

ভোলার সিভিল সার্জন মো. শাফিকুজ্জামান জানান, ভোলা জেলায় মোট দুই লাখ আট হাজার শিশুকে করোনার টিকা দেয়া হবে। মোট ১৩দিন এ টিকাদান কার্যক্রম চলবে। প্রয়োজনে আরো বাড়ানো হবে। আজ (মঙ্গলবার) সকাল  থেকে  জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি পেডিয়াট্রিক ফর্মুলেশন ফাইজার বায়োএনটেক কমিরনিটি টিকা দেওয়া হচ্ছে। ভোলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় দুটি বুথে এক যোগে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৬টি করে টিম কাজ করছে। প্রতিটি টিমে দুই জন কর্মী রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ১৬ হাজার শিশুকে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে।





আরও...