অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে জেলে শূণ্য ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৭ই অক্টোবর ২০২২ রাত ০৯:১৫

remove_red_eye

৪২০






ইকরামুল আলম : ইলিশের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের প্রথম দিনে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে কোনো জেলে নৌকা দেখা যায়নি। শুক্রবার সকাল থেকে ভোলার বিভিন্ন মাছঘাটগুলোতে সুনশান নিরবতা। মাছের আড়ৎগুলোও ছিল বন্ধ। এক দিন আগেও জেলে ও পাইকাদের হাকডাকে মুখরিত ছিল।
শুক্রবার সকাল থেকে ভোলার মেঘনা নদীর নাছির মাঝি, ভোলার খাল, কোড়ারহাট, ¯øুইজগেট, তুলাতুলি, ইলিশা মাছ ঘাটসহ বিভিন্ন মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, নদীতে কোনো জেলে নৌকা নেই। জেলেরা ঘাটে বসে জাল ও নৌকা মেরামতে ব্যবস্ত সময় পার করছেন। আবার কেউ ঘাটে অলস সময় পার করছেন।
এসময় মো. ইসমাইল, নোমান লিটন মাঝি, নাসিম মাঝিসহ ১০-১৫জন জেলে জানান, সরকার ২২দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় তারা মাছ ধরার ট্রলার থেকে জাল ও অন্যান্য সরঞ্জাম তীরে তুলে রেখেছেন। এখন নষ্ট জাল মেরামত করে তাদের দিন কাটে। সরকারের নিষেধজ্ঞা মেনে তারা নদীতে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। কিন্তু তাদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ভিজিএফ চাল সঠিকভাবে পাওয়া নিয়ে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন। এছাড়াও এ ২২দিন সংসারের খরচ ও মানুষের ধারদেনা নিয়েও চিন্তিত তারা।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোলায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযান বাস্তবায়নে প্রতিটি উপজেলায় পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে তিন থেকে চারটি করে টিম নদীতে কাজ করছে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলার মাছঘাটগুলোতে তদারকির জন্য আলাদা সাতটি টিম গঠন করা হয়েছে। যাতে করে কোনো জেলে নৌকা বা ট্রলার নদীতে মাছ শিকারে যেতে না পারে।
মৎস্য কার্যালয় সূত্রে আরো জানা গেছে, ভোলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা এক লাখ ৫৭ হাজার। এর মধ্যে এক লাখ ৩২ হাজার জেলের জন্য ২২দিনের নিষেধাজ্ঞাকালিন সময়ে ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জেলেদের কাছে বরাদ্দকৃত চাল পৌছানো হবে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানান, মা রক্ষা অভিযানের প্রথম দিনে ভোলায় কোনো জেলে আটক হয়নি। নদীও ছিল জেলে শূণ্য। এ অভিযান শতভাগ বাস্তবায়নে সকল ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাকালিন সময়ে জেলেদের কাছ থেকে এনজিও ও ব্যাংকের ঋণের কিস্তি না নেয়া হয় সে জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এনজিও এবং ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ অভিযান সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে মাছের উৎপাদন কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্যঃ ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় গতকাল ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২দিন ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় সকল ধরণের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাকালিন সময়ে নদীতে কোনো ধরণের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন আইনত দন্ডনীয়। এ আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদÐ অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দÐে দÐিত করা হবে।






আরও...