অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


ঘরে ঘরে জ্বর ও চোখ ওঠা রোগ : মনপুরায় ঔষধের সংকট


মনপুরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩রা অক্টোবর ২০২২ রাত ১০:৪২

remove_red_eye

২৮৫




ফার্মেসীতে দ্বিগুন দামে চোখের ড্রপ বিক্রির অভিযোগ


আবদুল্লাহ জুয়েল, মনপুরা : ভোলার মনপুরায় প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে জ্বর ও চোখের অসুখ। এমন কোন ঘর নেই যেখানে পরিবারের কোন না কোন সদস্য জ্বরের সাথে চোখ ওঠা রোগে ভুগছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ছোঁয়াচে এই সংক্রমন। এতে হাসপাতাল ও বাহিরে ফার্মেসীসহ সর্বত্রই দেখা দিয়েছে চোখের ঔষধের সংকট।
এদিকে এই সংকটকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর ঔষধ ব্যবসায়ী দ্বিগুণ দামে চোখের ড্রপ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ আক্রান্ত রোগিসহ রোগির স্বজনরা।
রোববার ও সোমবার প্রাইভেট ডায়গনস্টিকে চিকৎসকদের কাছে নিতে আসা আক্রান্ত রোগি আবুল কালাম, হাসান, মামুন, বৃদ্ধা ফাতেমা বেগম, মনোয়ারা বেগম, হাসান, শিশু রোগি সবুজের অভিভাবক কালামসহ অর্ধশতাধিক রোগি অভিযোগ করে জানান, ডাক্তার সাহেবেরা চোখের জন্য যেই ড্রপই দেয়, সেই ড্রপ ফার্মেসীতে গেলে পাওয়া যায় না। ফার্মেসীর লোকেরা বলে ঔষধ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু টাকা বেশি দিলে তারা ড্রপ বের করে দেয়।
এদিকে সোমবার বনবিভাগের পঁচা কোড়ালিয়া বিট কর্মকর্তা মোঃ আব্বাস অভিযোগ করেন জানান, গত দুই দিন ধরে জ্বর ও চোখ ওঠা রোগে ভুগছেন। কিন্তু বাংলাবাজার, কোড়ালিয়া ও সিরাজগঞ্জ বাজার ফার্মেসীতে চোখ ওঠা রোগের ড্রপ খোঁজে পায়নি। পরে তিনি হাজিরহাট বাজারের এক ফার্মেসীতে থেকে দ্বিগুণ দামে কিনেছেন চোখের ড্রপ। একই অভিযোগ করেন উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন হাসপাতালে শতাধিকের ওপরে জ্বর সহ চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত রোগি চিকিৎসা সেবা নেয়। এছাড়াও প্রতিনিয়ত হাসপাতালের বাহিরে গড়ে অর্ধশতাধিকের ওপরে রোগি চিকিৎসা সেবা নেয়। এতে করে হাসপাতালে চোখের ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে। এভাবে রোগি আসলে সোমবারে চোখের ড্রপ শেষ হয়ে যাবে বলে জানা যায়।
এই ব্যাপারে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তৈয়বুর রহমান অনুপস্থিত থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশিকুর রহমান অনিক জানান,  হাসপাতালে প্রতিনিয়ত শতাধিকের ওপরে চোখ ওঠা রোগি চিকিৎসা সেবা নেয়। এতে হাসপাতালে ঔষধের সংকট দেখা দিয়েছে। ফার্মেসীতে চোখের ড্রপ বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন যারা এই কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে ঔষধ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জানান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।