অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


জলাতঙ্ক মুক্ত ভোলা গড়ার লক্ষ্যে প্রতিটি ইউনিয়নের কুকুরকে টিকা দেয়া হবে


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩রা অক্টোবর ২০২২ রাত ১০:৪০

remove_red_eye

৩১৬




বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূলে লক্ষ্যে  ভোলা জেলায় ব্যাপকহারে কুকুরকে টিকদানের লক্ষ্যে (এমডিভি) কার্যক্রমের  অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে ভোলা জেলা সিভিল সার্জেন এর মিলনায়তনে কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচির আওতায়  ভোলা  সদর উপজেলায় ৭ থেকে ১১অক্টোবর এই পাঁচ দিনে অন্তত আড়াই হাজার  কুকুরকে টিকা দেওয়া লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালনায় দেশ থেকে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুকুর টিকাদান(এমডিভি) কার্যক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে এটা করা হচ্ছে।
ভোলা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান আহমেদ এর সভাপত্বিতে অবহিতকরন সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (এমডিভি) কার্যক্রমের সুপার ভাইজার  মো: শরিফুল ইসলাম, ডা: মো: মহিউদ্দিন, ডা: শাহিন মাহামুদ,ডা: টুম্পা, ভোলা পৌর সভার  টিকাদান কর্মসূচীর সুপার ভাইজার মাদব চন্দ্র দে, উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান  লিয়াকত হোসেন মনসুর, ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মাষ্টার প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন ইউনিয়নের সচিব, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কর্মিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তরা বলেন,জলাতঙ্ক ভাইরাসজনিত মারাত্মক সংক্রামক রোগ। মূলত কুকুরের কামড় বা আঁচড়ে এ রোগ ছড়ায়। এই রোগকে হাইড্রোফোবিয়া বা পাগলা রোগও বলা হয়। এ  রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি পানি দেখলেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে  প্রতি বছর জলাতঙ্ক রোগে বহু মানুষ মারা যায়।
কুকুরকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগের বিস্তার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (এমডিভি) কার্যক্রমের সুপার ভাইজার  মো: শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিটি ইউনিয়নের  এলাকার আনাচে কানাচে কুকুর খুঁজে টিকা দেব। আর টিকা দেয়া হলে সে কুকুরের গায়ে রঙ দিয়ে দেয়া হবে।
সাত দিন থাকবে এই রঙ। প্রতিটি  ইউনিয়নে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ কুকুরকে টিকা দেয়া হবে। এটা নিশ্চিত করতে পারলে বাকি ৩০ শতাংশ কুকুরেও হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠবে।
তখন বাকি কুকুরগুলোও নিরাপদ হয়ে যাবে। এ কর্মসূচিতে ভোলা সদর উপজেলায় পৌরসভা ও ইউনিয়নে ৩৬ টিম  কাজ করবে।৭ থেকে ১১অক্টোবর এই পাঁচ দিনে অন্তত আড়াই হাজার  কুকুরকে টিকা দেওয়া লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়েছে।প্রতিটি  টিমে পাঁচজন করে সদস্য থাকবে।






আরও...