অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাসনে মরা গরু জবাইর অভিযোগ


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২২ রাত ১০:১৩

remove_red_eye

৩৬৫


চরফ্যাসন প্রতিনিধি: চরফ্যাশনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও গোপনে রোগাক্রান্ত গরু জবাই করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানাজানির পর স্থানীয় কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সংশ্লিষ্ট কসাইরা পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে চরফ্যাশনে এ ঘটনা ঘটেছে।  
স্থানীয়রা জানায়, চরফ্যাসন পৌরসভার কসাইপট্টিতে রোগাক্রান্ত একটি গরু  জবাই দেওয়ার জন্য আনা হয়। গরুটি এতটাই রোগাক্রান্ত ও দুর্বল ছিল যে ঠিক মত উঠে দাঁড়াতেও কষ্ট হচ্ছিল। এ সময় দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ সহকারী প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আবু সাইদ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে গরুটি জবাই করতে নিষেধ করেন। তখন অভিযুক্ত কসাই গরুটি অন্যত্র নিয়ে গোপনে জবাই করে। অভিযোগ রয়েছে জবাই করার আগেই ওই গুরুটি মারা গিয়েছিল।
চরফ্যাসন পৌরসভার কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু জানান, খুব ভোরে তিনি খবর পান একটি মরা গরু জবাই করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক তিনি ঘটনাস্থলে গেলে কসাই নোমান, রায়হান, রাসেল ও কবির জবাইকৃত গরু ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তিনি পৌঁছার আগেওই গরুটির চারটি পাসহ বেশ কিছু মাংস সরিয়ে ফেলা হয়েছিল বলেও জানান কাউন্সিলর। পরে তিনি পুলিশের সহায়তায় জবাইকৃত গরুর মাংস উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সরকারি ল্যবে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য গরুটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোরাদ হোসেন বলেন, এই ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে পৌরসভার স্বাস্থ্য সহকারী বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হবে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আবু সাইদ বলেন, নিষেধ করার পরও রোগাক্রান্ত গরুটি বাজারে বা ফ্রিজিং করে বিক্রির জন্য কসাইরা লোক চক্ষুর আড়ালে গরুটি জবাই করেছে যা অত্যন্ত গরহিত কাজ। এদের বিরুদ্ধে বিগত দিনেও এ ধরণের অপরাধ করার অভিযোগ রয়েছে।