অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২২ রাত ১০:১১

remove_red_eye

৪১১


আকতারুল ইসলাম আকাশ: ভোলায় কোমরের অংশে জোড়া লাগানো যমজ দুই কন্যা শিশুর জন্ম হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে মনি মুক্তা (২২) নামের এক নারী দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মনি মুক্তা ভোলা সদর উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী সাইফুল ইসলাম একটি বেসরকারি কো¤পানীর সেলসম্যান। তাঁর শশুড়বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায়।

মুক্তার স্বামী সাইফুল ইসলাম জানান,  শুক্রবার সকালে তাঁর প্রসববেদনা উঠলে দ্রæত তাকে শহরের বন্ধন হেলথ কেয়ার এÐ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। দুপুর ১টার দিকে গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডাঃ জান্নাত ই আলমের অস্ত্রোপাচারের (সিজার) মাধ্যমে মনি মুক্তা জোড়া লাগানো যমজ দুই শিশুর জন্ম দেন। শিশু দুইটির কোমরের অংশে জোড়া লাগানো।
সাইফুল ইসলাম আরো জানান, ২ মাস আগে তিনি মনি মুক্তাকে ঢাকায় ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। তখন ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে তাকে জানিয়েছিল গর্ভে যমজ শিশু দুইটি রয়েছে। তাঁরা গর্ভে উল্টো অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়াও বৃহ¯পতিবার দুপুরে মনি মুক্তাকে পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। অস্ত্রোপাচার করা ডাক্তার সর্বশেষ রিপোর্ট দেখে একই কথাই জানিয়েছিলেন। তবে যমজ বাচ্চা দুইটির কোমরের অংশে যে জোড়া লাগানো তা কোনো রিপোর্টেই আসেনি। সদ্য ভ‚মিষ্ট হওয়া শিশু দুইটি সাইফুল ইসলামের দ্বিতীয় সন্তান। তাঁর ৪ বছর বয়সী আরেকটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সেই সন্তানটি নরমাল ডেলিভারিতেই জন্মিয়েছিল। অস্ত্রোপাচার করা চিকিৎসক ডাঃ জান্নাত ই আলম  গনমাধ্যমকে জানান, সাধারণত নারীদের গর্ভে সন্তানের অবস্থান কেমন। সেটা জানতে হলে ২৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত¡া থাকাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে হয়। তাহলে বাচ্চা জোড়া লাগানো কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়। মনি মুক্তা যথাসময়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করেনি। তাঁর আল্ট্রাসনোগ্রামে বিলম্ব ছিল। যার ফলে তাঁর আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে যমজ শিশু থাকার বিষয়টি এসেছে। কিন্তু শিশু দুইটি যে জোড়া লাগানো তা আসেনি। এ চিকিৎসক আরো জানান, বর্তমানে নবজাতক দুইটি ও তাদের মা মনি মুক্তা সুস্থই আছেন। বন্ধন হেলথ কেয়ার এর পরিচালক  সাদ্দাম জানান, যমজ নবজাতক ও প্রসূতি মা ভালো আছেন। যমজ জোড়ালাগানো নবজাতক শিশু দুটোর উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব বিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য চিকিৎসকগন পরামর্শ দিয়েছেন।
ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ কে এম শফিকুজ্জামান জানান, বিভিন্ন কারনে জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। মনি মুক্তার জন্ম দেয়া জোড়া লাগানো শিশু দুইটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হলে ভালো হবে। সেখানকার সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা এ বিষয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারবে।





আরও...