অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাসনে পাতিহাঁসের কালো ডিম পাড়ার রহস্য উৎঘাটনে প্রাণী সম্পদ দপ্তরের পর্যবেক্ষন শুরু


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২ রাত ১০:১৬

remove_red_eye

২৫৬

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক: ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় সৌদি আরবের এক প্রবাসীর বাড়িতে একটি দেশী পাতিহাঁস বৃহস্পতিবার ভোরে আবারও কালো ডিম পেড়েছে। এ পর্যন্ত মোট ২টি ডিম পেড়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অবিশ্বাস্য এই খবর  ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদিনই উৎসক জনতা ওই বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছে। এদিকে প্রাণী সম্পদ বিভাগ ওই হাঁসের কালো ডিম পারার কারন উৎঘাটনের জন্য ২ জন কর্মকর্তাকে পর্যবেক্ষনের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে দাসকান্দি এলাকায় আবদুল মান্নান রাঢ়ী বাড়ীর সৌদি প্রবাসী আব্দুল মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ঘরোয়াভাবে ১১টি পাতিহাঁস লালন পালন করে। এর মধ্যে একটি হাঁস ৯ মাস বয়সী  ও  । বাকি হাঁসগুলো ৬/৭ মাসের।  বুধবার সকালে তার হাঁসের খোপে (ঘরে) বড় হাঁসটি কালো ডিম দেয়। ডিমের রং গাঢ় কালো দেখে তাসলিমা মনে করেন অন্যকোন প্রজাতির ডিম হতে পারে। প্রথমে তিনি ভয় পান। এর পর বাড়ির অন্যদের দেখালে এঘটনা এলাকায় দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে। পাতি হাঁসের কালো ডিম দেখতে ওই বাড়িতে লোকজন গিয়ে ভীড় জমায়। প্রবাসী আব্দুল মতিন জানান,  বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন আরো একটি ডিম পেড়েছে ওই হাঁসটি। স্থানীয়রা বলছে, পাতিহাঁসের কালো ডিম পাড়ার ঘটনা এই প্রথম। তাই এই অস্বাভাবিক ডিমের গবেষনা  করে রহস্য উৎঘাট প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল জানান, সাদারণত বাংলাদেশের  চরাঞ্চলের যে হাঁস গুলো রয়েছে তাদের কোনটিই কালো ডিম পাড়ে না। চরফ্যাসনের পাতি হাঁসে কালো ডিম পাড়ার কারন অনুসন্ধানে তাদের দপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে হাঁসটির গতিবিধি ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তার ৭ দিন পর্যবেক্ষন করবে। ৭ দিন পরও ডিমের রং যদি কালো হয় তা হলে তখন বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।