অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয় ও পরিকল্পনা সভা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২২ সন্ধ্যা ০৬:৫০

remove_red_eye

২৭১




বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন(পিকেএসএফ)-এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয় ও পরিকল্পনা সভার আয়োজন করা হয়। বুধবার অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন  হুমায়ুন কবীর, পরিচালক (কর্মসূচি)। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা; ডাঃ শাহীন মাহমুদ, ভেটেরিনারী সার্জন এবং এ.এইচ.এম জাকির হোসেন, খামার ব্যবস্থাপক, জেলা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার, ভোলা সদর। অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়ায় পরিকল্পনা তুলে ধরেন সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ আনিসুর রহমান টিপু, পরিচালনায় ছিলেন ডাঃ অরুণ কুমার সিনহা, উপ-পরিচালক ও ফোকাল পারসন (সমন্বিত কৃষি ইউনিট)। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সমন্বিত কৃষি ইউনিটের মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আবদুর রহিম, কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মুরাদ হোসেন চৌধূরী এবং সহকারী কারিগরি কর্মকর্তাবৃন্দসহ মিডিয়ার লোকজন।
আলোচনা সভায় সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বরাদ্ধকৃত প্রদর্শনীর বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত তুল ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বিগত সময়ে বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রদর্শনীর বাস্তবায়ন কৈাশল, অর্জন এবং মাঠ পর্যায়ের প্রভাব নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
সভায় কৃষি, প্রাণী ও মৎস্য নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে উপস্থাপনা প্রদান করা হয়েছে। মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ধান নতুন জাত যেমন: : ব্রি ধান-৭২, : ব্রি ধান-৮৭, ব্রি ধান-৯৩, ব্রি ধান-৯৪, ব্রি ধান-৯৫ এবং ফসল চাষের ক্ষেত্রে শালগম, স্কোয়াস, সবুজ মূলা ইত্যাদি চাষ করার প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি সর্জান পদ্ধতির ব্যাপক সম্প্রসারণের নির্দেশনা দেন এবং পাশাপাশি বেবী তরমুজ ও গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে আরো একটু মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। সরকারি সহযোগিতা ও সংস্থার সহযোগিতা যাতে ওভারলেপিং না হয় এবং কীটনাশক ব্যবহার কমাতে কৃষি উপকরণ বিক্রেতাদের নিয়ে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন।
উপস্থাপনার পরবর্তীতে সরকারী উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক মতামত প্রদান করেন। সংস্থা ২০১৩-২০১৪ অর্থবছর থেকে কৃষি, প্রাণী ও মৎস্য নিয়ে এ পর্যন্ত কর্মএলাকায় প্রায় ২৫০০টি ডেমো খামার বা প্লট তৈরী করেছে তার আঙ্গিকে ডাঃ শাহীন মাহমুদ বলেন, ডাটাবেইজ অনুযায়ী তথ্য সংরক্ষণ করে তা বিশ্লেষণ করা। ভোলা জেলার সর্বত্র টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে তিনি সর্বাঙ্গিক সহযোগিতা প্রদান করবেন বলে আশাব্যক্ত করেন। তিনি পাশাপাশি টিকা সচেতনতা এবং নিরাপদ মাংস উৎপাদনের ক্ষেত্র খামার সম্প্রসারণে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা(জিজেইউএস)-এর অভিজ্ঞ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের ভ‚য়সী প্রশংসা করেন।
এ.এইচ.এম জাকির হোসেন বলেন, মাছ চাষে বিকল্প খাবারের উৎস নির্ণয় করতে হবে এবং ভোলার হাজাগোজা পুকুরে মাছ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিষমুক্ত শুটকি উৎপাদনের ক্ষেত্রে সংস্থার নিজস্ব ব্র্যান্ডে উৎপাদন এবং বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হলে ভোক্তারা উৎসাহ পাবে।






আরও...