অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে যৌতুকের দায়ে স্ত্রীর হাত ভেঙ্গে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০শে মে ২০১৯ রাত ০১:২৬

remove_red_eye

৮৬৫

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক \ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে যৌতুকের দায়ে ২সন্তানের জননীর হাত ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, প্রায় ১১ বছর পূর্বে চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের (গনি মিয়ার সেন্টার সংলগ্ন) রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদারের বিয়ে হয় ভোলা পৌর কাঠালী ৮নং ওয়ার্ডের মোঃ ইলিয়াস ড্রাইভারের মেয়ে নাজমা আক্তারের সাথে। বিয়ের পর কিছুদিন উভয়ের দাম্পত্য জীবন ভাল কাটলেও পর মুহুর্তে পর বিত্তুলোভি স্বামী মনির নাজমার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের যৌতুক দাবী করে। নাজমার দিনমজুর বাবা মেয়ের সুখের জন্য কয়েক দফায় আড়াই লাখ টাকা যৌতুক প্রদান করলেও এপর্যন্ত কোন প্রকার শান্তি মেলেনি নাজমার ভাগ্যে। কিছুদিন পূর্বে মনির ও তার বাবা মা ফের ২লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে নাজমার দিনমজুর পিতার কাছে। নাজমার পরিবার স্বামী মনিরের বার বার এ অন্যায় দাবী মানতে রাজি না হলে নাজমার উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। এ যৌতুকের টাকাকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত একাধিক বার নির্যাতন করে নাজমাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পাষন্ড স্বামী ও তার শ্বশুর শ্বাশুরী। সর্বশেষ গত ১৫মে ২০১৯ নাজমার সাথে যৌতুকের টকাকে কেন্দ্র করে বাক বিতন্ড হয় মনির ও তার বাবা মার সাথে। এসময় এ সূত্র ধরে, মনির ও তার মা রহিমা বেগম বাবা রাজ্জাক হাওলাদার নাজমাকে দুনিয়া থকে চির তরে সরিয়ে দেয়ার জন্য তার উপর বেপরোয়া হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা লাঠি দিয়ে নাজমার ডানহাতে আঘাত করলে হাতটি ভেঙ্গে ৩ টুকরো হয়ে যায়। এসময় নাজমা অচেতন হয়ে মাটিতে পরে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার উদ্দেশে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দেয়, এসময় নাজমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার নাজমার অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করে। জানাগেছে, এ ব্যাপারে নাজমার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অন্যদিকে নাজমার দিনমজুর বাবা এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।