অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে লাম্পি স্কিন আক্রান্ত গরু হচ্ছে গরু প্রতিরোধে নেই ভ্যাকসিন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪শে নভেম্বর ২০১৯ রাত ০৮:০৪

remove_red_eye

৮৪৬

চরফ্যাশন প্রতিনিধি || ভোলার চরফ্যাশনে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে শত শত গরু। এছাড়াও উপজেলায় বিভিন্ন চর এলাকা সমূহে এই ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের সূত্র মতে উপজেলার ১লাখ ১৮হাজার ২২৩টি গরুর মধ্যে ১০% গরু এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সরজমিনে জানা যায় চরফ্যাশনে ১৮৫টি গরুর খামারের প্রায় খামারেই এ ভাইরাসের দেখা দিয়েছে।
জানা যায় উপজেলার চর নিজাম, চর হাসিনা, জাহানপুর, চর ফকিরা, হাজারীগঞ্জ, চর মানিকা, ঢালচর ও বয়ারচরে গত একমাসে ১১হাজারের বেশি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এতে বেশ কিছু গরু অনাহারে দুর্বল হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরছে বলে খামারিরা জানান। চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের গরুর খামারি খলিল জানান, এ ভাইরাসে প্রথমবারের মতো আমার গরু আক্রান্ত হয়েছে। প্রথমে গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুটি ওঠে ফুলে যায়। পরে গুটিগুলো ইনফেকশনে দগদগে ঘা সৃষ্টি হয় এবং ক্ষত স্থানে চামরা ও মাংস পচে যাচ্ছে। শরীরে উচ্চ মাত্রার জ্বর ও ব্যাথা থাকায় এ সময় খাওয়া বন্ধ করে গরুগুলো দুর্বল হয়ে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে।
হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের খামারি সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতি গরুর ঔষুধ যেমন লাগছে ৪-৫হাজার টাকা আবার তেমন সহজলভ্যতা না থাকায় আক্রান্ত গরু নিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, এ ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল আফ্রিকা মহাদেশে। এটি মশা ও মাছি দ্বারা ছড়িয়ে থাকে। এ রোগটি হলে মুলত গরুর শরিরে ফুলা ফুলা গুটি ওঠে এবং পায়ের জয়েন্টে পানি জমে। তবে এ ভাইরাসের কোনোও ভ্যাকসিন নেই সেকেন্ডারি ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন রোধে অবস্থা নির্নয় পূর্বক এ্যান্টিবায়োটিক ও বিভিন্ন চিকিৎসা দেওয়া দেওয়া হচ্ছে। ঔষধ প্রয়োগ করলে ২-৩ সপ্তাহ লাগে এ রোগ সারতে। তিনি আরোও বলেন, ভাইরাস আক্রান্ত রোধে গরুর খামার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং নিয়ম মেনে গবাদি পশুর চিকিৎসা করালে কোনোও ঝুঁকি থাকেনা।