অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় কলেজ ছাত্রীর উপর নির্যাতন প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩১শে মে ২০১৯ রাত ০১:০০

remove_red_eye

৮৭০

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক \ ভোলায় অস্ত্রের মুখে  ওবায়দুল হক  কলেজের এক ছাত্রীকে অপহরণ ও নির্যাতনের  প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে  প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক শিক্ষার্থীদের ব্যানারে  শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দেয়া হয়। এ সময় পুলিশের এসআই হাসানের বিরুদ্ধেও আসামীদের গ্রেফতার না করার অভিযোগ ওঠে।

কলেজ ছাত্রী সীমা বেগম জানান,ধনিয়া এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের মাছ ব্যবসার আড়ালে সন্ত্রাসী মনির গত ৯ মার্চ অস্ত্র ঠেকিয়ে কলেজের সামনের রাস্তা থেকে সীম্ াবেগমকে তুলে নিয়ে কাজী অফিসে জোর পূর্বক বিয়ের কাগজে সাক্ষর করতে বাধ্য করে। তার বয়স ১৮ বছর হয় নি, বিয়েতে সে রাজি নয়। তার অভিভাবকদের খবর দিতে বলেন, কিন্তু  কোন কথা না শুনে সন্ত্রাসী মনির ও তার বাহিনীর কথামত কাবিন নামায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন কাজিদ্বয়।  এমনকি এ ঘটনার বিচার দাবিতে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি আবু মেম্বারের কাছে পাঠান । মেম্বার বিচার করবেন বলে কালক্ষেপন করেন। বিচার না পেয়ে তারা সংবাদ সম্মেলন করেন। এদিকে বাল্য বিয়ের আয়োজন করায় কাজীদের আটক করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামাল হোসেন। ওই মামলায় ভোলা থানার এসআই হাসান কাজীদের জামিনের ব্যবস্থা করতে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে মামলা সাজায়। এমনকি মামলার এজারকারী হিসেবে সীমা বেগমকে ডেকে স্বাক্ষর নেন, ভোলা থানার এসআই মাহাবুব হাসান।  ফলে আটকের দু দিনের মধ্যে জামিনে ছাড়া পান কাজি মোঃ সফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগি মোঃ হাসান। কলেজ ছাত্রী সীমা তার স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, সন্ত্রাসী মনিরের ভয়ে তারা এখন বাড়িতে থাকতে পারছেন না। তাকে ও তার পরিবারের হত্যা করার হুমকি দেয়া হচ্ছে।

ওবায়দুল হক কলেজের ছাত্র ইয়াহিয়া রামিম জানান, কলেজ বন্ধ থাকায় বিষয়টি অনেক ছাত্র-ছাত্রী জানতে পারে নি। তার পরেও যারা জেনেছে তারা মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশ নেয়। সন্ত্রাসী মনির গ্রেফতার না হলে কলেজ খোলার পর বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।  এদিকে স্মারকলিপি গ্রহণকালে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাহামুদুর রহমান  দুই দিনের মাথায় কাজিদের জামিন প্রাপ্তির বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। জন্ম তারিখ বাড়িয়ে লিখে বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করার অপরাধে বকুলতলা মসজিদ সংলগ্ন বিয়ে রেজিস্ট্রার অফিসের কাজি মোঃ সফিকুল ইসলাম ও তার সহকারীকে আটক করা হয়ে ছিল।