অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় নদী পড়ে নিখোঁজ ফেরির লস্করের মৃতদেহ উদ্ধার


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২২ রাত ০৯:০২

remove_red_eye

৩১৭

 
বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক: ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া এলাকায় ফেরি থেকে তেঁতুলিয়া নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পর ফেরি লস্কর  আমিনুল ইসলামের ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভোলা ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধাকারী দল ভেদুরিয়া ফেরিঘাট থেকে প্রায় ৩০০ ফুট দূরুত্বে তেঁতুলিয়া নদী থেকে এ লাশ উদ্ধার করেন। নিহত আমিনুল ইসলাম ভেদুরিয়া-লাহারহাট নৌ-রুটে চলাচলকরা কৃষ্ণচূড়া ফেরির লস্কর ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোলার ভেদুরিয়া ফেরিঘাটে ফেরি কৃষ্ণচূড়া লোড হচ্ছিল। লোড শেষে ফেরীটি  বরিশালের লাহারহাট ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। ফেরিতে গাড়ি লোড হওয়ার একপর্যায়ে লষ্কর আমিনুল ইসলাম  ফেরির পাশ দিয়ে ভাসমান একটি ইলিশ মাছ দেখতে পায়। একপর্যায়ে ওই ইলিশ মাছটি উঠাতে গিয়ে ফেরি থেকে পা পিচ্ছলে নদীতে পরে যায়। নদী তীব্র সোত থাকায় মুহুর্তের মধ্যে তিনি ফেরীর নীচে চলে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করতে ফেরিতে থাকা অন্য স্টাফরা এগিয়ে আসলেও আমিনুল পানিতে তলিয়ে যায়।

 ভোলা ফায়ার সর্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. সুমন সাংবাদিকদের জানান, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ডের ডুবরী দল তেঁতুলিয়া নদীতে শুক্রবার দিনভর চেষ্টা চালিয়েও তাঁর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় শুক্রবার সন্ধায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেন তারা। পরে শনিবার সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ড। এ সময় টহলরত অবস্থায় ভেদুরিয়া ফেরিঘাট থেকে ৩০০ ফুট দূরে আমিনুল ইসলামের লাশ ভাসতে দেখেন ফায়ার কর্মীরা। পরে  লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।










আরও...