অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


ভোলা হাসপাতাল দালাল মুক্ত করতে স্থাপিত হচ্ছে সিসি ক্যামেরা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২২ রাত ১০:৩১

remove_red_eye

২৪৫




অমিতাভ অপু :  ভোলায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালকে দালাল মৃুক্ত করতে অবশেষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। ডাক্তারদের চেম্বারসহ গুরুত্বপূর্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন হবে। রবিবার জেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই সভায় অভিযোগ করা হয়, ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে দালালদের কারনে সাধারণ রোগীরা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রতি ডাক্তারের চেম্বারের সামনে সার্বক্ষনিক অবস্থান করেন  দুই/ তিন জন দালাল । ডাক্তারের কক্ষ থেকে রোগি বের হলেই দালালরা প্রেসক্রাইপসহ কাগজপত্র টেনে নিয়ে যান। সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা দালালদের নির্দির্ষ্ট ডায়গনস্টিক সেন্টারে করতে বাধ্য করে। কয়েকটি ক্লিনিক ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারের মালিকরা তাদের নিয়োগকৃত দালালদের দৈনিক মুজরি দেন রোগী আনার উপর নির্ভর করে। বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হলেও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না হাসপাতালের তত্বাবধায়কসহ স্টাফরা। তিন মাস আগে সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রস্তাব থাকলেও বাস্তবায়নের  কোন উদ্যোগ নেন নি । তত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ লোকমান হাকিম জানান, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য গণপূর্ত বিভাগকে  ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। ওই বিভাগ কাজ করছেন না। অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালের ভেতরের একটি চক্র চাচ্ছে না ওই হাসপাতাল দালাল মুক্ত হোক। কোন রোগী বা তার স্বজনরা দালাল এড়িয়ে হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গেলে হাসপাতাল টেকনিশিয়ানরা জানেিয় দেন , রিএজেন্ট সরবরাহ নেই, তাই হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে না। ফলে বাধ্য হয়ে রোগীরা দালালের মাধ্যমে প্রাইভেট ক্লিনিকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় তত্বাবধায়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক ডাঃ মনিরুজ্জামান। তিনি অবশ্য জানান, নানা কারনে তারা অনেক কিছু বাস্তবায়ন করতে পারছেন না।
জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক ই লাহী চৌধুরী জানান, সিসি ক্যামেরা দেখে দালালদের চিহ্নিত করে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে তাদের  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জানান, ভোলার ১৯ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে তার পরিষদের পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ১০টি ক্যামেরা স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এদিকে ওই সভায় জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন  অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট  তামিম আল ইয়ামিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, দৌলতখান উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আলম খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের  সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব,  প্রেসক্লাব সভাপতি এম. হাবিবুর রহমান, প্রবীন সাংবাদিক আবু তাহের, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর দুলাল চন্দ্র ঘোষ, জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম,  জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে, প্রেসক্লাব সম্পাদক অমিতাভ অপুসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন। সামনের শারদীয় দুর্গাপূজা ও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি চক্র অরাজগতা সৃষ্টির পায়তারা যাতে করতে না পারে, সেদিকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।





আরও...