অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী শাশুড়ি আটক


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২২ রাত ১০:২৭

remove_red_eye

৩৬২



আকতারুল ইসলাম আকাশ : ভোলার দৌলতখান উপজেলায় রতœা (২০) বেগম নামে এক গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়ায় গেছে। এ ঘটনায়  স্বামী মো. রাসেল হোসেন ও শাশুড়ী নিলুফা বেগমকে আটক করেছে দৌলতখান থানা পুলিশ।রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার চর খলিফা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আলাউদ্দিন মিস্তিরি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত রত্নার মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রত্না একই উপজেলা সৈয়দপুর ইউনিয়ন ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নসু বেপারীর মেয়ে।

মেয়েকে স্বামী ও শাশুড়ী যৌতুকের জন্য গলাটিপে হত্যা করেছে দাবি করে নসু বেপারী বলেন, ১০ মাস আগে রাসেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে রতœার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের সময় জামাই রাসেলকে যৌতুক হিসেবে একটি মোটরসাইকেল ও ব্যবসার জন্য দেড় লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। রাসেল ওয়ার্কস ব্যবসায়ি। যাঁর জন্য ব্যবসা প্রসারের জন্য ওই মোটরসাইকেল ও দেড় লাখ টাকা দেওয়া হয়।

বিয়ের কয়েকমাস তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের কাটলেও বিগত ৩ মাস ধরে রাসেল ও তাঁর পরিবার আমার কাছে (শশুর) আরো ৫০ হাজার টাকা চেয়েছিল। আমার কাছে তাদের চাহিদার পর্যাপ্ত টাকা নেই। সেজন্য তাদেরকে বলে দেয়া হয়েছিল আমি টাকা দিতে পারব না। সেই জের ধরেই জামাই রাসেল ও তাঁর মা নিলুফা বেগম গলাটিপে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। তাঁর দাবি রতœা ৪ মাসের অন্তঃসত্তা ছিল।

অন্যদিকে স্ত্রী হত্যা অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক রাসেল দাবি করছে, তাকে (রতœাকে) গলাটিপে হত্যা করা হয়নি। বেশকিছু দিন ধরে রতœা পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সে (রতœা) মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত লোকের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেছিল। বিষয়টি তিনি টের পেয়ে রতœার কাছে জানতে চেয়েছিল অজ্ঞাত লোকটি কে ছিল ?  রাসেলের দাবি তাঁর প্রশ্নের কোনো সদুত্তর রতœা দিতে পারেনি। এ সময় তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে রতœা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

দৌলতখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেন জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন রত্নকে তাঁর বাবা নসু বেপারী ঘরের সামনের খাটে শুয়ে রেখেছে। রত্নর সুরতহাল প্রতিবেদনে পুলিশের এ কর্মকর্তা মনে করছেন তাকে গলাটিপে হত্যা করা হতে পারে। রত্নর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অন্তঃসত্তা থাকার বিষয়ে তিনি জানান, রতœা ৪ মাসের অন্তঃসত্তা থাকাকালীন গেল মাসে তাঁর বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। যাঁর ফলে মৃত্যুর সময় রতœা অন্তঃসত্তা ছিল না।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন জানান, নিহতের বাবার অভিযোগে রাসেল ও নিলুফাকে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। রতœার বাবা বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা দায়ের হওয়ার পর আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।