অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


মনপুরা হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ


মনপুরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২২ রাত ০৯:৪৫

remove_red_eye

৩১২

মনপুরা প্রতিনিধিঃ  ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় চিকিৎসা না পেয়ে এক শিশুর মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সরা দেড় ঘন্টা ধরে ভর্তিকৃত এক বছর বয়সী মোঃ আবদুল্লাহ নামে এক শিশুর হাতে ক্যানোলা পুশ করতে না পারায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে মনপুরা ৫০ শয্যা হাসপাতালে ঘটনা ঘটে।  ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে মৃত শিশুটির স্বজনদের সাথে হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক, নার্স কর্মকর্তাদের হট্রগোল হলে পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

শিশুটির চাচা মাওলানা রিয়াজ গনমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার রাত টায় ভাতিজা আবদুল্লাহ ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ডাঃ আশিকুর রহমানকে দেখান। তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যাবতীয় ঔষধের প্রেসক্রিপশন করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। এবং ক্যানোলা পুশ করে দ্রæ ঔষধ প্রয়োগ করতে বলেন। প্রথমে শিশুটিকে নিয়ে ইমারজেন্সি রুমে দায়িত্বরত কেউ না থাকায় সেখানে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। পরে শিশুটিকে হাসপাতালের দোতলার দায়িত্বরত নার্সদের রুমে নিয়ে গেলে ঘটে বিপত্তি। দেড় ঘন্টা ধরেও দায়িত্বরত নার্সরা ওই শিশুর হাতে ক্যানোলা পড়াতে পারেননি। পরে ভাতিজার মৃত্যু হয়। হাসপাতালে ভর্তিরত রোগী স্বজনরা জানান, এই হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অনুপস্থিত দীর্ঘ দিন ধরে। যে যার মতো কাজ করছেন। এতে তারা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানান তারা। ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাসে এক দিন আসেন বলে জানান রোগিরা।

ব্যাপারে মনপুরা উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তৈয়বুর রহমান অনুপস্থিত থাকায় ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, জ্বর ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় শিশুটির শরীরে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ক্যানোলা পড়াতে পারেনি নার্সরা। এতে ঔষধ প্রয়োগ করতে না পারায় শিশুটির মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তৈয়বুর রহমান মোবাইলে  জানান, ওই শিশুটি অবস্থা গুরুতর ছিলো। তাকে হাসপাতালের নার্স একাধিকবার চেষ্টা করেন ক্যানুলা পুশ করার জন্য। কিন্তু ভেইন শুকিয়ে যাওয়ায় তাকে ক্যানুলা পড়াতে পারেনি।

মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, শিশু মৃত্যু নিয়ে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে হট্রগোল শুরু হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। মৃত শিশুটি তার পরিবারের সদস্যরা পরে নিয়ে গেছেন।  তবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি।