অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় আখের বাজার মূল্য ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২২ রাত ১০:১৭

remove_red_eye

৩৫২

জুয়েল সাহা বিকাশঃ গত দুই বছর সফলতার মূখ দেখেনি ভোলার আখ চাষীরা। জোয়ারের পানি ক্ষেতে রোগ, পোকা-মাকড়ের আক্রমের কারণে আখ চাষ করে লোকসান গুনতে হয়েছিল চাষীদের। তবে এবছর ভোলায় আখের ব্যাপক ফলন হওয়ায় বিগত বছরের লোকসান পুষিয়ে উঠার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। ক্ষেতে রোগ পোকা-মাকড়ের আক্রাম না থাকায় আখের ব্যাপক ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। আর বাজারের আখের ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটে উঠেছে কৃষকদের মুখে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, এবছর ভোলার সাত উপজেলায় ৭শহেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছেন। আবহাওয়া আনুকূলে থাকায় ক্ষেতে রোগ, পোকা-মাকড়ের আক্রমন তেমন না হওয়ায় ব্যাপক ফলন হয়েছে আখের। এখন প্রতিদিনই সকাল থেকেই উৎসাহ নিয়ে ক্ষেত থেকে আখ কেটে বিক্রি করছেন কৃষকরা। তবে বাজারের আখের ভালো দাম হওয়ায় হাসি ফুঁটে উঠেছেন কৃষকদের মূখে।

ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক মোঃ দুলাল আহমেদ জানান, তিনি এবছর ৩২ শতাংশ জমিতে আখের চাষ করেছেন। পর্যন্ত সব মিলে ৪০ হাজার টাকার আখ বিক্রি করেছেন। এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার টাকার আখ ক্ষেত থেকে বিক্রি করেছেন। আরো ২০/২৫ হাজার টাকার আখ বিক্রি করতে পারবেন।

কৃষক মোঃ জাকির হোসেন জানান, গত দুই বছর জোয়ারের পানির আক্রমন রোগ, পোকা-মাকড়েরর কারণে আখ চাষ করে লোকসান হয়েছে। এবছর ক্ষেতে জোয়ারের পানি, রোগ পোকা-মাকড়েরর আক্রমন তেমন নেই। তাই আখের ব্যাপক ফলন হয়েছে। এবছর আখ চাষ করে আমরা কৃষকরা অনেক লাভবান হবো।

কৃষক মোঃ নিজাম জানান, তিনি গত / বছর ধরে আখের চাষ করে আসছেন। কিন্তু বাজারে আখের ভালো দাম তিনি ওই বছরগুলোতে পাননি। কিন্তু এবছর সিজনের শুরুনেই আখের দাম বাজারে অনেক চড়াও পাচ্ছেন। এতে তিনিসহ কৃষকরা অনেক খুশি।

এই ইউনিয়নের পাতা বেড়িয়ে গ্রামের কৃষক মোৎ শহিদ জানান, এবছর সার কীট নাশকের দামটা একটু বেশি হওয়ায় আমাদের সমস্যা হয়েছে। তবে যদি এবছর সার কীট নাশকের কম হতো তাহলে আমরা গত বছরগুলোর লোকসান পুষিয়ে অনেক লাভবান হতাম।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ হাসান ওয়ারিসূল কবীর জানান, গত দুই বছর লোকসান হওয়ায় এবছর অনেক কৃষক আখ চাষে নিরউৎসাহিত হয়েছেন। যার কারণে আখের আবাদও কম হয়েছে। তবে জোয়ারের পানির হানা রোগ, পোকা-মাকড়ের আক্রমন না থাকায় এবছর যারা আখ চাষ করেছেন তারাই সফল হয়েছেন। 

এদিকে এবছর ভোলার সাত উপজেলায় আখ চাষের লক্ষমাত্র ছিলো ৭৬৫ হেক্টর। আর আবাদ হয়েছে ৭শহেক্টর। আর লক্ষমাত্রার চেয়ে ৬৫ হেক্টর কম।





আরও...