অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ঢাকায় ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠানে তোফায়েল আহমেদকে নিয়ে দেয়া কাদের খানের মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদে ভোলায় সংবাদ সম্মেলন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২রা সেপ্টেম্বর ২০২২ রাত ০৯:০১

remove_red_eye

৩৩২

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে নিয়ে
ঢাকা উত্তরের সহসভাপতি কাদের খান যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দোস্ত মাহমুদ। শুক্রবার বেলা ১১ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দোস্ত মাহমুদ এই প্রতিবাদ জানান। এসময় তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বক্তব্য রাখায় কাদের খানের বিচার দাবি করেন। 
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা দোস্ত মাহমুদ তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তৎকালীন  বাকশালের ভোলা জেলার সেক্রেটারি জেনারেল শামসুদ্দিন আহমেদ তার পিতা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে তার পিতা শামসুদ্দিন মিয়া বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদের ঢাকার বাসায় ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার খবর পেয়ে তোফায়েল আহমেদ ভেঙে পড়েছেন। তোফায়েল আহমেদ ছটফট করতে থাকেন। কিন্তু মেজর জিয়াউর রহমান এবং মেজর ডালিমের গ্রæপের সেনাবাহিনীর দ্বারা তোফায়েল আহমেদসহ ওই বাসার সবাই নজরবন্দি থাকায় কেউ বাসা থেকে বের হতে পারছিলেন না। এক পর্যায়ে   তোফায়েল আহমেদকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পর শামসুদ্দিন আহমেদ ভোলায় চলে আসেন।  অথচ কাদের খান তার বক্তব্যে বলেছেন ওই রাতে শামসুদ্দিন মিয়া ঢাকার একটি হোটেলে ছিলেন এবং কাদের খানকে গামছা লুঙ্গি দিয়ে রিক্সা চলকের বেশে তোফায়েল আহমদের বাসায়  গিয়ে খবরাখবর আনতে বলেছেন। এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক এবং ঔদ্ব্যত্যপূর্ণ।
দোস্ত মাহমুদ আরও বলেন,  কাদের খান ১৯৭৪-৭৫ সালে ভোলা কলেজের ভিপি পদে নির্বাচন করেছেন। তিনি কখনোই ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়েন নি। কাদের খান ১৫ আগস্টের রাতে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে কয়েক হাজার ব্যাজ বিতরণ করার যে কল্পকাহিনি তৈরি করে সভায় উপস্থাপন করেছেন তাও সবৈব্য মিথ্যাচার।
দোস্ত মাহমুদ আরও বলেন,  দলের সভানেত্রীর সুদৃষ্টি পেতে কাদের খান এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজের অবস্থান জাহির করেন। কাদের খানের এমন মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানান। পাশাপাশি কাদের খানসহ ইতিহাস বিকৃতকারী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আশরাফ হোসেন লাবু, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জুলফিকার আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা এম. হাবিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম,  মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শামসুদ্দিন সামসু, অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।





আরও...