অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


পর্যটনের হাতছানি দিচ্ছে তজুমদ্দিনের মেঘনা পাড়


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩০শে আগস্ট ২০২২ রাত ১০:১১

remove_red_eye

৬০৩

এম. নয়ন, তজুমদ্দিনঃ মনোরম পরিবেশ, নদীর ঢেউ আর বাহারি ডিজাইনের ø নির্মিত হয়েছে মেঘনার পাড়। যেন অপরূপ সৌন্দের্যের হাতছানি। নানান রঙ্গে সাজানো øকের উপর বসে মেঘনার বিশাল জলরাশির দিকে দৃষ্টি গেলে আবেশে মন জুড়িয়ে যায়। ঢেউয়ের তোড়ে খেলা করে হরেক রকমের দৃষ্টিনন্দন পাখি। শীতল বাতাস এসে ছুঁয়ে যায় কঁচি-কোমল ঘাস। এসব দৃশ্যের পাশাপাশি যখন শীতল বাতাস এসে গায়ে পরশ বুলিয়ে যায় তখন যে কারো  মন ভুলিয়ে দেয়। নিজের অজান্তেই গেয়ে ওঠে - ....মা....   মন ভুলায়রে। 

ভোলার তুজমদ্দিন উপজেলায় মেঘনার নদীর ভাঙন রোধে ৬শকোটি টাকার সিসি ø স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যে কারণে পাল্টে গেছে নদীর পাড়ের সার্বিক চিত্র। নদী বাঁধের কাজে ব্যবহত øককে কাজে লাগিয়ে বাহারি সাজে সাজানো হয়েছে তজুমদ্দিনের চৌমহনী ঘাট থেকে দক্ষিণ দিকে প্রায় সাড়ে কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকা।

সারিবদ্ধভাবে øকের উপর আবার সাদা, লাল হলুদ রঙের ৩টি করে ø বসিয়ে সাজানো হয়েছে বাহারি রূপে। নানা সৌন্দর্যের কারণে স্থানীয়দের পাশাপাশি পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকেও সৌন্দর্য পিপাসু মানুষগুলো তার পরিবার পরিজন নিয়ে বিকাল বেলা বাহারি রঙের øকে বসেই প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছেন।

তজুমদ্দিন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম নয়ন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাদির হোসেন রাহিম বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আগামীর সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র তজুমদ্দিনের মেঘনার পাড়ে ভালোবাসার টানে ছুটে যাই সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আলহাজ্ব নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি মহোদয়ে প্রচেষ্টায় অঞ্চলের মানুষগুলো নদী ভাঙ্গনের ভয়াল থাবা থেকে যেমন রক্ষা পেয়েছে তেমনি øকের সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটকরা।

মেঘনার পাড়ে ঘুরতে আসা তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সাদী সাধারণ সম্পাদক এম নূরন্নবী বলেন, মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই প্রকৃতি  প্রেমিক। তজুমদ্দিনের মেঘনায় রয়েছে বিশাল জলরাশি। যেখানে যেকোন ভ্রমণ পিপাসুর মনের খোড়াক যোগাতে সক্ষম। ইতোমধ্যে তজুমদ্দিনের বেড়িবাঁধে রঙ-বেরঙের যেসব ø বসানো হয়েছে তাতে এই সৌন্দর্যের মাত্রা অনেকগুন বেড়ে গেছে। পাশাপাশি একটি টেকশই বেড়িবাঁধও নির্মাণ হয়েছে

তজুমদ্দিন হোসনে আরা চৌধুরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন সুমন   সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিশু বলেন, সংসদ সদস্য নূরুন্নবী  চৌধুরী শাওন নদী ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ায় বদলে গেছে নদীর পাড়ের মানুষের ভাগ্য। যেখানে মানুষের ভিটেমাটি হারনোর ভয় ছিল প্রতিনিয়ত, সেই নদীর পাড় এখন এক অপরূপ প্রাকৃতিক পর্যটন স্পটের পাশাপাশি মানুষের বিনোদনের ¯থান হিসেবে রুপান্তরিত হয়েছে।