অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় নিখোঁজের তিনদিন পর দুই স্কুল ছাত্রী উদ্ধার


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯শে আগস্ট ২০২২ রাত ১০:১৩

remove_red_eye

৩৩০





অমিতাভ অপু : ভোলায় প্রাইমারী স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়া দুই ছাত্রীকে   ৩ দিন পর ঢাকার মিরপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এক নারীর প্ররোচনায় চাকুরির আশায় দুই শিশুর এমন এ্যাডভেঞ্চার শুনে  এদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল ) মোঃ ফরহাদ সরদার ও এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন।  রোববার দুপুরে এদের ঢাকা থেকে ভোলায় নিয়ে আসা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল ) মোঃ ফরহাদ সরদার  জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বৃহস্পতিবার ওই দুই শিক্ষার্থী  স্কুলে না গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর  বাড়ি না ফেরায় ৫ম শ্রেনির ছাত্রী তহমিনা বেগমের পিতা ইজিবাইক চালক মোঃ কামাল হোসেন ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সুরভী বেগমের মা রাবেয়া বেগম  থানায়  জিডি করেন। এর পরই এসআই মোঃ জসিম উদ্দিন  নিঁখোজ ছাত্রী উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন বিভিন্ন স্থানে। আটক করা হয় এক রিকসা চালককে। এরা শিবপুর কালিকীর্তি নতুন সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রী। উদ্ধারের পর  শিক্ষার্থীরা জানায়, বাড়ির পাশের রুনা বেগম নামের এক স্বামী পরিত্যাক্তা নারী  ওদের ঢাকায় যেতে উদ্বুদ্ধ করেন। এক অটো চালক  তহমিনা বেগমের সাড়ে ৪ হাজার টাকার  কানের দুল রেখে ওদের ১২০ টাকা দেয়। একই সঙ্গে ইলিশা ঘাটে দুপুরের ঢাকাগামী লঞ্চে তুলে দেয়। রাত ৮টায় সদরঘাটে নেমে এরা দাঁড়িয়ে ছিল। এরা রুনা বেগমের দেয়া ঠিকানায় যাওয়ার কথা বলায় এক বৃদ্ধ লোক ওদের রিকসায় তুলে দেয়। কল্যানপুর গিয়ে ওরা ঠিকানা খুজে না পেয়ে রাতে  মামা সাইফুলের মিরপুর-১ যাওয়ার জন্য বললে এক সিএনজি চালক তুলে নেয় শিশু দুটিকে। রাত  প্রায় ১২টায় পথে সিএনজিকে বিট পুলিশ থামিয়ে তল্ল্শাী ও জিজ্ঞাসাবাদে জিএনজি চালক জানায় শিশুটি তার বোন। কিন্তু পুলিশ ওদের জিজ্ঞাসা করলে ওরা সত্য কথা জানায়। এ সময় সুজন নামের এক বাস চালকের জিন্মায় ওদের রাখা হয়।  পর দিন ওই বাস চালক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়ির ঠিকানা জেনে এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিনকে বিষয়টি জানান্রো ব্যবস্থা করেন। ইউপি চেয়ারম্যান শিশু দুটি অবস্থান পুলিশকে জানায়। এর পর মিরপুর থানাকে অবহিত করে এদের উদ্ধার করা হয়। ওই শিক্ষার্থীদের স্কুল প্রধান শিক্ষক মনির উদ্দিন জানান, শিশু দুটিকে ঢাকায় নেয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। এর সঠিক তথ্য উদঘাটন করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি। শিশুদের বিপদগামী পথে নিতেই এদের ঢাকা যেতে উদবুদ্ধ করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, শিশু দুটি তাদের অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হলেও  এর পেছনে যারা দায়ি তাদের খুজে বেড় করা হচ্ছে । এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন জানান,  শিশু দুটি হঠাৎ নিখোঁজ হওয়ায় তিনি উদবিঘœ হন। বিভিন্ন স্থানে গ্রাম পুলিশ দিয়ে তল্লাশি করা হয়। শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের বিপদ বা ঝুঁকি থেকে এদের রক্ষা পাওয়ায় সুকরিয়া আদায় করেন পিতা মোঃ কামাল হোসেন। তিনি অভিযুক্ত নারী রুনার শাস্তি দাবি করেন।





আরও...