অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় বিজিবি সদস্যকে চাপা দেয়া ট্রাকের হেডলাইট ছিল নষ্ট


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫শে আগস্ট ২০২২ রাত ১০:২৮

remove_red_eye

৩০৭



আকতারুল ইসলাম আকাশ : ভোলায় ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্য ইসমাইল হোসেন টিটু নিহত হওয়ার ঘটনায় ঘাতক ট্রাকটির চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন রাতে নিহতের ভাই মহসিনের করা সড়ক পরিবহন আইনে তাদেরকে আটক করে পুলিশ।
গতকাল বুধবার (২৪ আগষ্ট) তাদেরকে আদালতে তোলা হলে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
ঘাতক ট্রাকটির ডান পাশের হেডলাইন নষ্ট ছিল। এছাড়াও রাতের অন্ধকারে ট্রাকটির স্পিড বেশি ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদার নিহত ইসমাইলের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্বজনদের সমবেদনা জানান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ভোলা-ল²ীপুর মহাসড়কের ইলিশা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ঘাতক ট্রাকটি সিএনজিটিকে চাপা দিয়ে দ্রæতগতিতে ইলিশা ফেরিঘাটের দিকে চলে যায়। পরে ট্রাকটি রাস্তার পাশে থামিয়ে চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদেরকে আটক করে। আটকের পর প্রাথমিকভাবে গাড়িটির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। গাড়িটির ফিটনেস ছিল। তবে তাঁর (গাড়িটির) ডান পাশের হেডলাইন নষ্ট ছিল। বা পাশের হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়িটি চলছিল। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, একটি হেডলাইট দিয়ে গাড়িটি দ্রæত গতিতে চলার কারণে এ দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, সিএনজি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। চালক জানিয়েছে তিনি সিএনজিটি সঠিকভাবেই চালিয়েছেন। এবং তার (সিএনজি) গতিও স্বাভাবিক ছিল।
এদিকে নিহত ইসমাইলের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্বজনদের সমবেদনা জানিয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার হওয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার। এসময় তাঁর সঙ্গে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন ছিলেন। পুলিশ সুপারকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্বজনরা। এ সময় তাঁর বাড়িতে হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ,গত মঙ্গলবার (২৩ আগষ্ট) রাত ৮টার দিকে ভোলা-ল²ীপুর মহাসড়কের ইলিশা বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মো. ইসমাইল হোসেন টিটু নামে এক বিজিবি সদস্য নিহত হয়। এছাড়াও এ ঘটনায় মো. সুমন ও আকবর নামে ২ যাত্রী গুরুতর আহত হয়। নিহত ইসমাইল খাগড়াছড়ি জেলার মাড়িশা বিজিবি ক্যাম্পে ল্যান্স নায়েকের দায়িত্বে ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে ১৭ দিনের ছুটি নিয়ে তাঁর গ্রামের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের মুছাকান্দিতে আসছিলেন তিনি। এ সময় ঘাতক ট্রাক তাঁর প্রাণ কেড়ে নেয়। ইসমাইল ২ সন্তানের জনক। তাঁর একটা ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।






আরও...