অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ই পৌষ ১৪৩২


রোহিঙ্গা সংকটে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সরকার: ফখরুল


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫শে আগস্ট ২০২২ রাত ০৯:২৯

remove_red_eye

৩৩৭

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সরকার কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। রোহিঙ্গা ইস্যুকে জিইয়ে রেখে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল নয়, ব্যবসাও করছে সরকার। এ সংকট সমাধানে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে মহাসংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশ।

এ সংকট নিরসনে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে আন্তর্জাতিক মহলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চাপ প্রয়োগে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এ সরকার গণতান্ত্রিক নয় বলেই বিশ্ব দরবারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সমর্থন আদায় করতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের পাঁচ বছর পার হলেও সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চরমভাবে ব্যর্থ। মূলত, শুরু থেকেই সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশ ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বোঝা বহন করে চলেছে। গত ২২ আগস্ট জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, প্রতিবছর গড়ে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হচ্ছে। সে হিসাবে গত চার বছরে বাংলাদেশে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই থাকবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর অসহনীয় চাপ সৃষ্টি করছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং সামাজিকভাবে জীবন-জীবিকায় চরম অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মাদক ব্যবসা, নারীপাচার ও নানাবিধ অসামাজিক ও আইনবিরোধী কার্যকলাপ চলছে। এতে পরিস্থিতি অশান্ত ও অস্থির হয়ে উঠছে। রোহিঙ্গারা মাদক চোরাচালান ও মাদকপাচারে জড়িয়ে পড়ছে। তারা অন্তর্দ্বন্দ্বে লিপ্ত হচ্ছে। এসব বিষয় চরম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আবাসন, খাদ্য, স্যানিটারি ব্যবস্থা, পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এছাড়া ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষা ব্যবস্থা, বিনোদন, জীবনাচার ইত্যকার বিষয়গুলোও ব্যয়বহুল। এ এক দক্ষ ব্যবস্থাপনানির্ভর এক মহাকর্মযজ্ঞ। বিশেষত কোভিড-১৯ পরবর্তী সংকটকালে এরইমধ্যে ১৭ কোটি মানুষের ভারাক্রান্ত বাংলাদেশের পক্ষে রোহিঙ্গাদের এ অতিরিক্ত বোঝা বহন করা রীতিমতো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের একার নয়। এটি বৈশ্বিক সংকট। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশ সরকার এ বৈশ্বিক সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যথাযথভাবে উদ্বুদ্ধ করতে পারেনি। বিশ্বের অন্যান্য মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেভাবে সাড়া দেয় বা তৎপর হয়, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সেভাবে এগিয়ে আসেনি। এটা নিঃসন্দেহে সরকারের চরম কূটনৈতিক ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই না।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই উপায়ে নিজ দেশে ফিরতে চায়। সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনার কক্সবাজার ক্যাম্প পরিদর্শনে গেলে তাকেও তারা এ দাবি জানায়। রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধানের জন্য ‘নিরাপদ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন’ নিশ্চিত করতে হবে। আর এ প্রত্যাবর্তনকে শুধুমাত্র কাগুজে চুক্তিতে বন্দি না রেখে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় চুক্তির কার্যকর প্রয়োগের পথে এগিয়ে নিতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ, আঞ্চলিক সংস্থা এবং বিশ্বশক্তিগুলোর স্ব স্ব ভূমিকা সুনিশ্চিত করতে হবে। কার্যকর কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলকে বাংলাদেশের সীমাবদ্ধতার কথা উপলদ্ধি করাতে হবে। কিন্তু তার আগে মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া হতে হবে স্বেচ্ছায়, মিয়ানমারের নাগরিকত্ব নিয়ে নিরাপদ, সম্মানজনক ও টেকসই। কোনো ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের পাতানো খেলার অপকৌশল হিসেবে নয়। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটি জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হতে হবে।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সরকারের জোরালো ভূমিকা দেখা যায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ও চেয়ারপারসনের মিডিয়া ইউং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

সুত্র জাগো

 





মনপুরায় খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় বিএনপির কোরআন খতম ও দোয়া

মনপুরায় খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় বিএনপির কোরআন খতম ও দোয়া

খালেদা জিয়ার বিশ্বস্ত ছায়াসঙ্গী ফাতেমা এখন ‘একা’

খালেদা জিয়ার বিশ্বস্ত ছায়াসঙ্গী ফাতেমা এখন ‘একা’

মায়ের কবরে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা

মায়ের কবরে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন তারেক রহমান

খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন তারেক রহমান

অশ্রুসিক্ত বিদায়: নজিরবিহীন জনসমুদ্রে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন

অশ্রুসিক্ত বিদায়: নজিরবিহীন জনসমুদ্রে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন

দেশে এমন জানাজা আগে দেখেনি কেউ

দেশে এমন জানাজা আগে দেখেনি কেউ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে সমাহিত খালেদা জিয়া

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে সমাহিত খালেদা জিয়া

স্বামীর সমাধির পাশেই: অন্তিম শয্যায় আপসহীন নেত্রী

স্বামীর সমাধির পাশেই: অন্তিম শয্যায় আপসহীন নেত্রী

খালেদা জিয়ার জানাজায় ৩২ দেশের কূটনীতিকদের উপস্থিতি

খালেদা জিয়ার জানাজায় ৩২ দেশের কূটনীতিকদের উপস্থিতি

আরও...