অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় নিহত বিএনপির দুই নেতার পরিবারকে জেডআরএফ সহায়তা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ই আগস্ট ২০২২ রাত ১০:৩৭

remove_red_eye

৩৪২


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : গত ৩১ জুলাই ভোলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নিহত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. আব্দুর রহিমের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) কেন্দ্রীয় বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ওই দুই নেতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা ও সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির টাকা তুলে দেন।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ প্রথমে ভোলায় এসে সকালে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমের বাড়িতে যান এবং দুপুরে ছাত্রদলের জেলা সভাপতি মো. নূরে আলমের বাড়িতে যান। প্রতিনিধি দল নিহত দুই নেতার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন ও কুশল বিনিময় করেন। পরে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের পক্ষে দুই পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। এসময় নেতৃবৃন্দ উভয়ের পরিবারকে আশ্বস্ত করে বলেন, যে কোনো সমস্যায় জেডআরএফের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান এ দুই পরিবারের পাশে থাকবেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) গঠিত হেল্পসেল কমিটির আহŸায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, সদস্য সচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকন ও সদস্য অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ট্রুম্যান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম কায়েদ, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্য প্রকৌশলী মো. আইয়ুব হোসেন (মুকুল), ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোক্তার হোসেন, কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্য ডা. শাহ ইমরান খান নাঈম ও ডা. ফয়সাল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা রিয়াজ ইকবালসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিষয়টির সার্বিক তত্ত¡াবধানে ছিলেন জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় বিএনপি কর্মসূচী অনুয়ায়ী তেল গ্যাস মূল্য বৃদ্ধি ও লোডশেডিং এর প্রতিবাদে ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের সাথে ব্যাপক সংর্ঘষ হয়। এতে ১০ পুলিশসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম নিহত হয় । সংঘর্ষে ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম গুরুতর আহত হলে  প্রথমে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠায়। পরে তাঁর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বরিশাল থেকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিন দিন লাইফ সাপোর্টে থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।










আরও...