অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


মায়ের অনুপ্রেরণায় শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে মানুষের হৃদয় জয় করেছেনঃ তোফায়েল


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ই আগস্ট ২০২২ রাত ১০:০৫

remove_red_eye

২৮৮


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদকঃ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গমাতা ছিলেন অনুপ্রেরনাকারী। তিনি বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরনা যোগাতেন। বঙ্গবন্ধুর ২টি বই একটা অসমাপ্ত আতœজীবনী  আর একটা কারাগারের রোজনামচা । এগুলো জেলের মধ্যে লেখার জন্য খাতা দিয়েছিলেন বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধু লিখতেন, সেগুলো আজ বই হয়েছে।

তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, কঠিন দিন,বঙ্গবন্ধু জেলে।   বঙ্গমাতা তার ছেলে সন্তানদের লেখাপড়া করিয়েছেন। আজকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বঙ্গমাতা আদর যতেœ করে বড় করেছেন। তখন তিনি ভাবছিলেন না শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে আজকে মায়ের কাছ থেকে অনুপ্রেরনা পেয়ে মানুষের হৃদয় জয় করেছেন।
সোমবার বেলা ১২টায় ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২ তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া-মোনাজাত ও মিলাদ-মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গমাতার প্রতি বিনম্্র শ্রদ্ধা জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, বেগম ফজিলতুন নেছা মুজিব আমাদের প্রিয় বঙ্গমাতা তার কোন তুলনা হয় না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তার জীবনের ১৪টি মূল্যবান বছর পাকিস্তানের কারাগারে কাটিয়েছেন। এ সময় যদি বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে সহযোগীতা না করতেন, প্রেরনা না যোগাতেন তাহলে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে এটা সম্ভব ছিল না। কতো কষ্ট করেছেন বঙ্গমাতা তা আমরা স্বচোক্ষে দেখেছি।
 তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বের বিখ্যাত নেতা হয়েছেন।  বঙ্গবন্ধুর মতো নেতার জন্ম আর কোন দিন হবে না। তিনি শুধু বাংলাদেশের নেতা ছিলেন না। তিনি আর্ন্তজাতিক বিশ্বে মহান নেতা ছিলেন। এই যে বঙ্গবন্ধু এতো বড় নেতা হয়েছেন, তাকে প্রেরনা জুগিয়ে ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব।  তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে ২২ ফেব্রæয়ারী ১৯৭০ বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছি। ২৩ ফেব্রæয়ারি রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষ লোকের সামনে প্রিয় নেতাকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়েছিলাম। তোফায়েল আহমেদ, স্মৃতিচারণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বিশ্ব নেতা। বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের নেতা।  জাতিসংঘে তিনি বাংলায় বক্তৃতা করেন। ওই দিন তার সঙ্গে উপস্থিত থাকার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রবীন নেতা তোফায়েল বলেন, তাই বঙ্গবন্ধুর ঋণ ও বঙ্গমাতার ঋণ কোন দিন শোধ করতে পারব না। তোফায়েল আহমেদ ভোলার উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, ভোলাকে সুন্দর করে সাজাতে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে। এদিকে  দোয়া মোনাজাতে এ সময়  উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দোস্ত মাহামুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক আরজু, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইউনুস, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: শাহে আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলী নেওয়াজ পলাশ,সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু সায়েম,যুগ্ন সম্পাদক আবিদুল আলম প্রমুখ। পরে দোয়া-মোনাজাত ও মিলাদ-মাহফিল শেষে অসহায় দুস্থদের মাঝে খাবার  বিতরণ করা হয়।





আরও...