অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ই পৌষ ১৪৩২


দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর দর্শন এখনও প্রাসঙ্গিক


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ই আগস্ট ২০২২ রাত ০৯:০৪

remove_red_eye

৩০৮

দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর দর্শন এখনও প্রাসঙ্গিক। তাঁর দেখানো পথেই বর্তমান সংকটের উত্তরণের উপায় নিহিত আছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। রোববার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতি ও বাণিজ্য ভাবনা বিষয়ক সেমিনারে তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন,পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানের শোষন-বঞ্চনার কৌশল। শুধু রাজনৈতিক মুক্তিই নয়, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যও ছিলো বঙ্গবন্ধুর। তাই তাঁর ঘোষিত ছয় দফার মধ্যে তিনটিই ছিল অর্থনীতি বিষয়ক। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর এনে দেওয়া স্বাধীন বাংলাদেশে অর্থনৈতিক মুক্তি আনার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেয়ার জন্য কোন কাজ করেন না। তাঁর প্রত্যেক সিদ্ধান্তের পেছনে দূরদর্শী পরিকল্পনা থাকে। চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। দেশ এসব সিদ্ধান্তের সুফল শিগগিরই পাবে বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, দেশবিরোধীরা এখনও সক্রিয়। নানাভাবে দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। এসব ব্যাপারে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানান, বঙ্গবন্ধুর সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনার কারণে দেশের রপ্তানিখাতে বৈচিত্র্য এসেছে। সদ্যস্বাধীন দেশে আমদানি-রপ্তানিতে বার্টার প্রথা চালু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বেসরকারিখাতে এই পদ্ধতিতে ৪০ শতাংশ অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি করার শর্ত দিয়েছিলেন তিনি। ওই সিদ্ধান্তের কারণেই রপ্তানিখাতে চিংড়ি ও চা যুক্ত হয়েছিলো। পরবর্তীতে সরকারি বার্টারেও বিদেশী দেশগুলোকে এসব অপ্রচলিত পণ্য কিনতে বাধ্য করেছিলেন। উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিত্যক্ত শিল্প রাষ্ট্রীয়করণ না করলে, স্থিতিশীলতা আসতো না। রাষ্ট্রীয়করণ করলেও, প্রশাসনিক দায়িত্ব ছিলো ব্যক্তিখাতে। ১৯৭৫ সালে বিরাষ্ট্রীকরণের নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা বাস্তবায়নের আগেই তাকে হত্যা করা হয়।
 এর আগে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, কৃষি উন্নয়ন, শিল্প ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ,সংস্কৃতি, নারী জাগরণ, গ্রামীন প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে ধারণ করে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়তে বাণিজ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তারই অংশ হিসেবে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কারিগরি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। যুদ্ধোত্তর বাস্তবতার নিরিখে সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার, প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে আপসহীন অভিযাত্রা, রাষ্ট্র নির্ভরতা থেকে ব্যক্তিখাতের বিকাশসহ বিভিন্ন দিকে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরেন ড. আতিউর রহমান।
এফবিসিসিআইয়েরর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের মধ্যেই ছিলো মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির চেতনা। বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁর সুযোগ্য কন্যার হাত ধরে দেশে অর্থনৈতিক মুক্তি ও সাম্য এসেছে। কৃষিনির্ভর অর্থনীতি থেকে শিল্প ও সেবাখাত নির্ভর দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে প্যানেল আলোচনায় এফবিসিসিআইয়ের প্যানেল উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ট্রেড ও ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য ড. মোস্তফা আবিদ খান জানান, স্বাধীনতা পরবর্তী বৈষম্য কমাতে রাষ্ট্রীয়করণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর আমলে এলডিসিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণেই বাংলাদেশের রপ্তানি বানিজ্য আজকের পর্যায়ে এসেছে।
 ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, প্রথম পঞ্চবার্ষিকি পরিকল্পনা দেশে ব্যক্তিখাতের বিকাশের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বার্টার পদ্ধতির কারণেই অনেক প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়েছিল। অর্থনৈতিক কূটনীতিতেও বিশাল ভূমিকা রেখেছেন বঙ্গবন্ধু।

সুত্র বাসস





মনপুরায় খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় বিএনপির কোরআন খতম ও দোয়া

মনপুরায় খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় বিএনপির কোরআন খতম ও দোয়া

খালেদা জিয়ার বিশ্বস্ত ছায়াসঙ্গী ফাতেমা এখন ‘একা’

খালেদা জিয়ার বিশ্বস্ত ছায়াসঙ্গী ফাতেমা এখন ‘একা’

মায়ের কবরে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা

মায়ের কবরে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন তারেক রহমান

খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন তারেক রহমান

অশ্রুসিক্ত বিদায়: নজিরবিহীন জনসমুদ্রে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন

অশ্রুসিক্ত বিদায়: নজিরবিহীন জনসমুদ্রে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন

দেশে এমন জানাজা আগে দেখেনি কেউ

দেশে এমন জানাজা আগে দেখেনি কেউ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে সমাহিত খালেদা জিয়া

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে সমাহিত খালেদা জিয়া

স্বামীর সমাধির পাশেই: অন্তিম শয্যায় আপসহীন নেত্রী

স্বামীর সমাধির পাশেই: অন্তিম শয্যায় আপসহীন নেত্রী

খালেদা জিয়ার জানাজায় ৩২ দেশের কূটনীতিকদের উপস্থিতি

খালেদা জিয়ার জানাজায় ৩২ দেশের কূটনীতিকদের উপস্থিতি

আরও...