অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে চরম বিপাকে ভোলার দেড় লক্ষাধিক জেলে


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ই আগস্ট ২০২২ রাত ১১:১৭

remove_red_eye

২৬৫



বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ সংকট ।  তাই ভালো নেই জেলেরা। তার উপর হাঠাৎ করেই জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে ভোলার উপকলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় দেড় লক্ষাধিক জেলে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা পর ডিজেলের দাম বেরে যাওয়ায়  শনিবার সকাল থেকে ভোলার অনেক জেলেই নদীতে মাছ শিকারে যায়নি। এ অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে কি ভাবে তাদের দিন কাঠাবে তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা।
 শনিবার সরেজমিনে ভোলা সদর উপজেলা তুলাতুলি মাছঘাট এলাকায় দেখা যায়, অনেক জেলে নদী থেকে তাদের নৌকা ট্রলার ও জাল তুলে ফেলছে।তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারনে অনেক জেলে নদী না গিয়ে ঘাটে অলস সময় পার করছেন। তাই মাছঘটের আড়ৎগুলোও ছিল অনেকটা জেলে শূণ্য। জেলেরা জানান, নদীতে দিন রাত জাল ফেলেও ইলিশের তেমন একটা দেখা পাওয়া যায়না।  দুই চারটি যা পাওয়া যায় তা দিয়ে খরচের টাকাও ঠিক মতো উঠতো না। তার উপর এখন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়া তাদের খরচ আরো বেড়ে গেলো। কিন্তু ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের দেখা নেই। তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারনে অনেক জেলে নদী না গিয়ে ঘাটে অলস সময় পার করছেন। তাই মাছঘটের আড়ৎগুলোও ছিল অনেকটা জেলে শূণ্য। জেলেরা জানান,একটি মাঝারি সাইজের মাছ ধরার ট্রলার নদীতে গেলে প্রায় ৩/৪ হাজার টাকার তেল পুড়ে মাছ পাচ্ছে পাওয়া যায় মাত্র দেড় থেকে দুই হাজার টাকার। এর মধ্যে আবার তেলের দাম বৃদ্ধি। তাই তাঁরা নদীতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। আবার অনেক জেলে তেলের দাম বাড়ায় নদীতে না গিয়ে ট্রলার তীরে তুলে রেখেছেন। কিভাবে তাদের সংসার চলবে তা নিয়ে চরম দু:চিন্তায় পড়েছে।
 জেলে আমিনুল জানান, শুক্রবার বিকেলে ১০লিটার ডিজেল ৮৫০টাকায় কিনে নদীতে মাছ শিকারে গেছেন। কিন্তু ভোরে নদী থেকে এসে মাত্র ৫০০টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। আবার সকালে তেলের জন্য দোকানে গেলে দোকানী প্রতি লিটার তেল ১১৫ টাকা চাচ্ছেন। তাই তিনি তেলে কন্টেইনার নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। তবে হঠাৎ তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় কি করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না তিনি। জলেরা জানান, তেল ও অন্যান্য খাবারসহ কয়েক হাজার টাকার মালামাল নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যেতে হয়। কিন্তু নদীতে এখন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে কম। গুটি কয়েক ইলিশ পাওয়া গেলেও তা দিয়ে খরচের টাকাও ওঠে না। আড়ৎদার মো. ইউনুছ জানান, তাঁর আড়তে ১০ থেকে ১২টি জেলে ট্রলার মাছ বিক্রি করে। নদীতে মাছ কম থাকায় লোকশানের মূখে আগে থেকেই অর্ধেক ট্রলার নদীতে যায় না। এর মধ্যে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় শনিবার সকাল থেকে একটি ট্রলারও নদীতে যায়নি।
 ভোলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোলা জেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে এক লক্ষ ৪৪হাজার। এর মধ্যে সাগড়ে মাছ শিকারে যায় ৬৪হাজার জেলে। তবে নিবন্ধিন ছাড়াও আরো প্রায় কয়েক হাজার জেলে রয়েছে । ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ গনমাধ্যমকে জানান, তেলে মূল্য বৃদ্ধিতে জেলেদের ওপর প্রভাব পড়বেই। কারন তেলের ওপর নির্ভর করইে জেলেদের নদীতে যেগে হয়। তবে তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে মাছের মূল্যও বৃদ্ধি পাবে।





আরও...