অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ : ভোলায় নিহতদের পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৫ই আগস্ট ২০২২ রাত ১০:০১

remove_red_eye

৩০৯

 



বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে নিহত ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী আবদুর রহিমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় জেলা বিএনপির উদ্দ্যোগে দোয়া মোনাজাত করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর ভোলার বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকালে মহাজনপট্রি ভোলা জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় ছিল বন্ধ। তবে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন ছিলো। শহরের পরিস্থিতি ছিলো স্বাভাবিক শান্ত। শুক্রবার সকালে ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ গোলাম নবী আলমগীরের নেতৃত্বে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ নিহত ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের বাড়িতে গিয়ে নিহতের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। এসময়  জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর নুরে আলমের পরিবারের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন। এসময় গোলাম নবী আলমগীর বলেন, নুরে আলমের ৬ বছর বয়সী একমাত্র শিশুকন্যাটি বড় না হওয়া পর্যন্ত তিনি এবং তার দল বিএনপি এই পরিবারের পাশে থাকবেন।  
 অপর দিকে ভোলা-৪ আসনের সাবেক বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিমের কবর জিয়ারত করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়ে নগদ অর্থ সহায়তা তুলেদেন। এছাড়া তিনি বিকালে নিহত ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের কবর জিয়ারত করে তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। নিহত নুরে আলমের বড় ভাই মো. আবুল কাশেম গনমাধ্যমকে জানান, আমার ভাইকে যে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও মেনে নিতে পারছি না। এ ঘটনায় মামলার বিষয়ে আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। পরিবারের মুরব্বিদের সাথে পরামর্শ করে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. এনায়েত হোসেন জানান, নুরে আলমের মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক কোনো মামলা হয়নি। তবে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় নুরে আলমের মারা যাওয়ার ঘটনা  যুক্ত করা হবে। এছাড়া বিএনপি ও পুলিশের সংর্ঘষের ঘটনায় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত নতুন কোন আসামী আটক হয়নি বলেও জানান তিনি।
 উল্লেখ, গত ৩১ জুলাই রবিবার গ্যাস ও বিদ্যুতের অব্যবস্থাপনা বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ভোলায় পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমসহ অনেক নেতাকর্মী। মুমূর্ষু অবস্থায় গুলিবিদ্ধ নুরে আলমকে ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানে তিন দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পরে  অবশেষে বুধবার দুপুরে ঢাকার কমফোর্ট হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন নুরে আলম।






আরও...