অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দুপুর ১২টায় প্রত্যাহার


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ঠা আগস্ট ২০২২ রাত ১১:৩৬

remove_red_eye

৩০৬

 
কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি

 এম ছিদ্দিকুল্লাহ :  বিএনপি ও পুলিশ সংর্ঘষে গুরুতর আহত  ভোলা জেলা  ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপি ভোলায়  সকাল সন্ধা হরতালের ডাক দিলেও  বৃহস্পতিবার ১২ টার পর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।সকাল থেকে  হরতালে কোন অপ্রিতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।  দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল ছিলো স্বাভাবিক। তবে শহরের সদর রোড,মহাজনপট্রি বিএনপি অফিস এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ছিলো। ভোলা জেলা বিএনপি বৃহস্পতিবার সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহবান করলেও দুপুর ১২ টায় ভোলা জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জনগণের দুর্ভোগ লাগোভের কথা উল্লেখ করে ১২টার পর থেকে সকাল সন্ধ্যা হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন। এদিকে হরতাল সমর্থনে বিএনপি খন্ড খন্ড বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এর প্রতিবাদে  ভোলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাাপতি আবদুল মমিন টুলু , উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সফিকুল ইসলাম,,আওয়ামীলীগের নেতা এনামুল হক আরজু,আজিজুল ইসলাম, আলী নেওয়াজ পলাশ, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু ছায়েমের নেতৃত্বে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগও শহরে হরতাল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় আব্দুল মমিন টুলু গনমাধ্যমকে জানান, কোন মৃত্যু তাদের কাম্য নয়। কিন্তু তাই বলে হরতালের নামে অরাজগতা সৃষ্টি করা হবে। তা আমরা মেনে নিতে পারি না।
 সরেজমিনে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর থেকে  হরতালে সমর্থনে বিএনপি ছাত্রদল ,সেচ্ছাসেবক দলসহ তাদের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা  শহররের মহাজনট্টি ,কালিকাথ রায় বাজার বিএনপি অফসি এলাকায় দফায় দফায় খন্ড খন্ড বিক্ষোভ মিছিল করে। শহরের সদর রোড, মহাজনপট্রি ,কালিনাথ রায় বাজার এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শহরের নতুন বাজার , গাজিপুর রোড, কালীবাড়ি, হাসপাতাল সড়ক, যুগিরঘোল এলাকায় দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা গেছে। ব্যাংক ও বীমা কোম্পানী খেলা ছিলো। ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল ছিলো স্বাভাবিক। তবে সদর রোড,মহাজন পট্রি এলাকায় যানবাহন কম চলাচল করেছে। মাঝে মাছে অটো রিক্সা চলাচল করলেও বিএপির পিকেটারদের তোপের মুখে পড়ে। অপর দিকে ভোলা বাংলা স্কুল মোড় এলাকা থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শহরে বিশাল একটি হরতাল বিরোধী শান্তিপূর্ন মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের সদর রোডসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অপর দিকে ভোলা-চরফ্যাসন রুটে সকাল থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসসহ যানবাহান চলাচল ছিলো স্বাভাবিক।
অন্যদিকে হরতাল চলাকালে শহরের গুরুত্বপূর্ন এলাকার সড়কে পুলিশ, র‌্যাব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ীর বহর টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়াও শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন ছিল।
 ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন জানান, হরতালে ভোলায় কোনো প্রকার সহিংসতা ঘটেনি এবং কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্তর অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে ভোলায় পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংর্ঘষের প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার ভোলায় আসেন। বিএনপির মহাসচিব  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে গঠন করা প্রতিনিধি দলের প্রধান কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা বাবু গয়েশ্বর  চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে ভোলায় আসার বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দ দুপুরে সংবাদ সম্মেলন শেষে ভোলার দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়নের নিহত সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিমের কবর জিয়ারত করেন। এছাড়াও তারা  নিহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।





আরও...