অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


পুলিশ বিএনপি সংর্ঘষ : ভোলায় নিহত ও আহতদের জন্য বিএনপির দোয়া মোনাজাত


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২রা আগস্ট ২০২২ রাত ১০:৪৫

remove_red_eye

২৩২






বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় দু’টি মামলায় নামে ও অজ্ঞাত মিলে তিন শতাধিক ব্যাক্তির নামে মামলা হওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে। মঙ্গলবার  বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিলও পালিত হয়নি। তবে গুরুতর আহত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমের সুস্থতা কামনা ও সেচ্চাসেবক দলের কর্মী নিহত আব্দুর রহিমের রুহের মাগফেরাত কামনায়  দোয়া-মোনাজাত করা হয়েছে। বিকালে ভোলা জেলা বিএনপির আয়োজনে মহাজনপট্রি কালিনাথ রায় বাজার এলাকার বিএনপি কার্যালয় এ দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মুনাজাতে অনেক সিনিয়র নেতাই উপস্থিত ছিলেন না। এদিকে  সকাল থেকে শহরের মহাজনপট্টি জেলা বিএনপি কার্যালয় সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ মোতায়ন ছিল।

দোয়া মোনাজাতের আগে সংক্তিপ্ত বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেন, পুলিশ বিনা কারনে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। ভোলার রাজনীতির ইতিহাসে এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা কোনোদিন ঘটেনি। বিগত দিনে ভোলা জেলা বিএনপি বহু রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে কিন্তু কোনো দিন এরকম ঘটনা ঘটেনি। পুলিশের সাথে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। কিন্তু বিএনপি কখনও সীমা লঙ্ঘন করেনি। আমরা সব সময় দায়িত্বশীল আচরন করে থাকি। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবী করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এছাড়াও গোলাম নবী আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, পুলিশের দাখিল করা ২টি মামলায় কয়েকশ' নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশীর নামে বিএনপির লোকজনকে হয়রানি করছে। দলীয় কার্যালয় এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তাই নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার আতংকে থাকায় সকালের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন নি।
আহত জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন উল্লেখ করে গোলাম নবী আলমগীর বলেন, নুরে আলম লাইফ সপোর্টে আছে। তাঁর জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত তার মাথায় অস্ত্রপাচার করা সম্ভব না বলে জানিয়ে দিয়েছে চিকিৎসক। সে বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতারে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। তাঁর অবস্থাও ভালো না। এখন আমাদের দোয়া করা ছাড়াও কোনো আর উপায় নেই। তাই আমরা এ দোয়ার আয়োজন করেছি। আগামীকাল-পরশু ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা ভোলায় আসবেন বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠান দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ভোলা আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আহম্মেদ উল্লাহ ফকি।

এদিকে দোয়া-মোনাজাতে জেলা বিএওনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়ারুল আলম লিটন, কবির হোসেন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি রবিন চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর আকন,  যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হেসেন সহ যুবদল, ভোলা সদর উপজেলার সাবেক সদস্য সচিব জাকির হোসেন সবুজ,  ভোলা সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আওলাদ হোসেন বাহার, ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মাকসুদুর রহমান হিরন,হাফিজুর রহমান তসলিম, ভোলা সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইব্রাহিম, সদস্য সচিব ইয়াকুব শাহ জুয়েল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রনি, সদস্য সচিব মাইনুদ্দিন হাওলাদার,   যুগ্ম আহবায়ক মনজুর আলম  রিপন শেখ, সোহাগসহ ছাত্রদল ও সেচ্চসেবক দলসহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,  গত রবিাবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলায় বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল  করতে গেলে  পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময়  সংর্ঘষে  সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম নিহত হয়। এছাড়াও ১০ পুলিশসহ বিএনপির গুলিবিদ্ধ সহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমের অবস্থা গুরুতর। তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপির ৭১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩ শত ব্যাক্তির নামে পুলিশ এ্যাসোল্ড ও হত্যাসহ পৃথক দুটি  মামলা দায়ের করা হয়েছ। এই মামলায় মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন নিশ্চিত করেন। অপর দিকে ওই ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকেও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।





আরও...