অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


বোরহানউদ্দিনের গৃহবধু বর্ণালীর ঢাকায় রহস্যজনক মৃত্যু সঠিক তদন্তের দাবী


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৬ই জুলাই ২০১৯ রাত ১০:০২

remove_red_eye

৫০৪

আব্দুল আজিজ, বোরহানউদ্দিন : মাগো আমাকে আর জোর করে ঢাকায় পাঠিওনা আমার স্বামী প্রতিদিন আমাকে শাররিক ও মানষিক নির্যাতণ করে। একা বাসায় কাঁদতে কাঁদতে চোঁখের জল ও শুকিয়ে গেছে আমার। প্রতিদিন বলে তুই মর। তুই মরলে আমি তোর চেয়ে সুন্দর মেয়ে পাবো। তোর বাবা মা আমার বাবার সম্পদ দেখে তোকে আমার কাছে বিয়ে দিয়েছে। আমি অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক করলে তাতে তোর কি ? এভাবেই মেয়ের উপর নির্যাতনের বর্ণনা সংবাদ কর্মীদের সামনে দিয়েছেন নিহত বর্নালী মজুমদার বন্যার মা শিখা রানী সেন।
৫বছর পূর্বে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের বাবুল মজুমদার এর মেয়ে বর্ণালী মজুমদারের সাথে পৌর ০৬নং ওয়ার্ডের চুনি লাল দের ছেলে মিথুন দে(রাহুলের) সাথে পারিবারিক সম্মতিতেই বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায় প্রতিনিয়ত মিথুন ও মিথুনের পরিবার নিহত বর্ণালীকে শাররীক ও মানসিক নির্যাতন করত। নির্যাতন করে কয়েকবার বাসা থেকেও বের করে দেয়। পরে বর্ণালী ঢাকায় স্বামীর বাসা থেকে চলে আসে বোরহানউদ্দিনে। বর্ণালী স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বোরহানউদ্দিনে আসলে বর্ণালীর স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুরী বর্ণালীর মা-বাবাকে অনুরোধ করে বর্ণালীকে অনেকটা জোর করেই ঢাকায় বনশ্্রীতে স্বামীর বাসায় পাঠায়। পাঠানোর সময় বর্ণালী তার মা-বাবা ও আতœীয় স্বজনের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি আর ঢাকা যাবো না। আমার স্বামী ও শ্বশুর শ্বাশুরী আমাকে লাশ বানিয়ে তোমাদের কাছে পাঠাবে। শেষ পর্যন্ত বর্ণালীর কথাই সত্য প্রমানিত হলো। লাশ হয়েই বাপের ভিটায় ফিরলেন বর্ণালী মজুমদার বন্যা ! গত ২জুলাই রাতে বনশ্রী এ বøকের ২নম্বর সংলগ্ন একটি বাসা থেকে রাত ১১ টার দিকে অচেতন অবস্থায় বর্ণালীর স্বামী মিথুন তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে বর্ণালীর মৃতর খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে বর্নালীর স্বামী মিথুন বর্ণালীর লাশ হাসপাতালে ফেলে রেখে রহস্যজনক ভাবে আগেই রমপুরা থানায় গিয়ে আটকের নাটক করে বলে অভিযোগ করেন বর্ণালীর পরিবার। অভিযোগ রয়েছে, স্বামী মিথুনের খালাতো ভাই এস আই দিপক দে ঢাকা কমিশনার অফিসে কর্মরত থাকায় সে নিজেই মিথুনকে রামপুরা থানায় নিয়ে যায়। পরে মৃত বর্ণালীর পরিবার রামপুরা থানায় গেলে দেখেন এস আই দিপক থানায় যাতে মামলা দিতে না পারে তার জন্য তদবির চালাচ্ছেন। বর্তমানে মৃত বর্ণালীর দেড় বছরের কন্যা সন্তান ও কাজের মেয়ে এস আই দিপকের বাসায় আছে বলে জানায়, এস আই দিপক। এব্যাপারে এস আই দিপককে বর্ণালীর মেয়ে ও কাজের মেয়ে তার বাসায় কেন মঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে সে বলেন, তারা কোথায় থাকবে? আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমার কাছে আসেন। এ ব্যাপারে ওসি আঃ কুদ্দুস ফকিরের কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, বর্ণালীর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে পর প্রকৃত ঘটনা অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেব। বর্ণালী কি কারণে মারা গেছেন তার সঠিক তদন্ত রামপুরা থানায় হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে অছেন বর্ণালীর মা-বাবা।
এদিকে নিহত বর্ণালী মজুমদারের রহস্য জনক মৃত্যুর মামলার সঠিক তদন্তের জন্য প্রধান মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তার পরিবার।