অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


বোরহানউদ্দিনে ৭ বছরের শিশুর উপর নির্মম নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮শে জুন ২০২২ সকাল ১০:১০

remove_red_eye

৬১৮

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় ৭ বছরের শিশুকে নির্মম, নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পরে রবিবার পুলিশ শিশু নির্যাতনের দায়ে দাদিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। আদালত জামিন না মঞ্জুর কর তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। সোমবার বিকালে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিত শিশু তানিশার বাবা মো. হারুন হাওলাদার এবং মা মনোয়ারা বেগম। প্রায় ৬ বছর আগে তানিশার বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে বাবা ২য় বিয়ে করেন চট্টগ্রামে থাকেন । মা মনোয়ারা বেগমেরও অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। সেই থেকে তানিশা তার নানার বাড়িতে বসবাস করত।সম্প্রতি তানিশাকে তার দাদার বাড়িতে আনা হয়। গত ২৩ জুন সকালে গত ২৩ জুন বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের বড়পাতা গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে একটি মোবাইল ফোন হারায় । ওই ফোন তানিশা চুরি করেছে এমন অভিযোগ তুলে দাদি সোনিয়া বেগম তানিশাকে অমানবিক নির্যাতন করেন। স্থানীয় এক কিশোর মোবাইল ফোনে নির্যাতনের একটি ভিডিও করেন। পরে সেটি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে পোস্ট করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। "৩১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, দাদি সোনিয়া বেগম শিশুটির চুলের মুঠি ধরিয়ে তাকে পাশবিক নির্যাতন করে। শিশুটির চুলের মুঠি ধরে একটি পুকুর পাড়ের কাঁচা মাটির রাস্তায় শিশুটিকে চেঁচিয়ে বাড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছে এবং উপরে তুলে শিশুটিকে আছাড় দিচ্ছে। সেসময় শিশুটি দাদির হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করে এবং মা মা শব্দ করে কান্নাকাটি করে। শিশু তানিশাকে রাস্তা থেকে চেঁচিয়ে বাড়িতে নিয়ে লোহার প্লাস দিয়ে তাঁর ডান হাতের আঙ্গুলের নখ টেনে উঠিয়ে ফেলা হয়। পরে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।

বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির জানান,নির্যাতনের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে পুলিশের নজরে এলে তারা অভিমান চালিয়ে রবিবার দুপুরে দাদি সোনিয়া বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। বর্তমানে শিশুটি তার মায়ের জিম্মায় তার কাছে রয়েছে।