অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে অতি বৃষ্টিতে কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১ই জুলাই ২০১৯ রাত ০৯:৩৪

remove_red_eye

৮০৩

আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন থেকে: চরফ্যাশন টানা ৭ দিনের বিরামহীন বৃষ্টিতে পৌরসহর ও গ্রামীন এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে। পানি নিস্কাসনের সুব্যবস্থা না থাকায় এ সমস্যা প্রকট আকার ধারন করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নেই। টানা বৃষ্টির কারনে শত শত শ্রমজীবি মানুষ কাজ না পেয়ে বেকার হয়ে পরেছে। এসব মানুষের মধ্যে অনেকেরই ঘরে পানি ঢুকার কারনে চুলা পর্যন্ত জ্বলছেনা, রান্না হচ্ছেনা পরিবারের জন্য খাবার। ক্ষতি হয়েছে বর্ষাকালীন সবজি ক্ষেতের এবং পুকুরের মাছ। গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষনে পৌর শহরের বেশ কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নাগরিকদের স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যহত হচ্ছে। শহরের বেশ কিছু সড়কে যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা পায়ে হেঁটে পথ চলাও এখন দুষ্কর।

বাসা বাড়ীর ভেতরে পানি প্রবশে করেছে। সবচেয়ে বিপদগ্রস্থ অবস্থায় রয়েছে নি¤œ ও মধ্যম আয়ের পরিবার গুলো। তার পরেও জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ভুক্তভোগী মানুষ ক্রমশ বিক্ষুব্দ হয়ে উঠেছে। এমনিতেই পৌরসভার আয়তন অনুযায়ী ড্রেনেজ ব্যবস্থার স্বল্পতা রয়েছে। যতটুকু ড্রেনেজ ব্যবস্থা আছে তাতে ¯েøাভ এবং পর্যাপ্ত পানি ঢুকার মুখ না থাকার দরুন পানি নেমে না গিয়ে জমে থাকছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইউসুফ হোসেন ইমন বলেন, পৌর সহরের অভ্যন্তরে প্রবাহিত একমাত্র খালটি থানারোডের পূর্ব মাথায় ব্রীজ নির্মানের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুপাশে বাঁধ দিয়ে রেখেছে। অভিযোগের শুরে তিনি বলেন দুই চারজন শ্রমিক দিয়ে এই গুরুত্ব পূর্ণ সরকের ব্রীজটি নির্মান কাজ চলছে। যার জন্য বাঁধ কেটে ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। ব্রীজ নির্মান কাজে অবহেলার জন্য পৌর শহরে জমে থাকা পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পৌর ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা নাজু পন্ডিত ও মাকসুদ আমিন জানান আমরা কি অপরাধ করেছি। আমাদের ওয়ার্ডে একটিও ড্রেন নেই। বিরামহীন বৃষ্টির কারনে পানি বন্দি হয়ে পরেছি। পানির সাথে পৌর সহরের ময়লা আবর্জনা এবং বিশাক্ত পোকামাকর ঘরের মধ্যে ঢুকে পরে। তাই আমাদের বসত ঘর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে এবং পরিবারের মধ্যে অনেকেরই পানি বাহিত রোগের দেখা দিয়েছে।

পৌর মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ড্রেনগুলোর পথ পরিষ্কার করে দ্রæত সময়ে শহরের জমে থাকা পানি সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যে জলাবদ্ধতার বন্দি থেকে শহর বাসীকে মুক্ত করতে পারবো।