অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় গলাকাটার গুজব ছড়ানো ৪ ব্যক্তি শনাক্ত,আটককৃত ১ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১ই জুলাই ২০১৯ রাত ১১:২৩

remove_red_eye

৬৮২

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গলাকাটা ও ছেলে ধরা গুজবের অপপ্রচার ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে শিশুদের অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের মাঝে তীব্র আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তবে অবশেষে মাথাকাটার অপপ্রচারের সাথে যুক্ত ৪ জনকে ভোলার পুলিশ সনাক্ত করেছে। এর মধ্যে ১ যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়। তবে অন্য ৩ জনকে এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি। তাদের একজন দেশের বাইরে রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কয়সার সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার আরো জানান, গত ৬ জুলাই থেকে একটি চক্র ফেসবুকে পদ্মা সেতুর জন্য এক লক্ষ মাথা কাটা লাগার গুজব ছড়িয়ে পড়লে ভোলায় শিশুসহ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক দেখা দেয়। তার পর থেকে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান শুরু করে। এর মধ্যে ভোলা জেলায় ৩ জন ও দুবাইতে ১ জনকে সনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে চরফ্যাসন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের চর নিউটন এলাকার রাস্তা থেকে বুধবার দুপুরে কৃষক মো: আলী হাওলাদারের পুত্র আঃ শহিদ হাওলাদার (৩০) কে পুলিশ গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে একটি ব্যাগ ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে আটককৃত যুবক শহিদ অস্বীকার করে এবং তার মোবাইলের ম্যাসেঞ্জার ও ফেসবুক সফটওয়ার মুছে ফেলে। পরবর্তীতে তা ইনষ্টিল করা হলে তার ফেসবুকে ও ম্যাসেঞ্জারে কল্লাকাটার গুজব ছড়ানোর সত্যতা পাওয়া যায় এবং সব স্বীকার করে। আটককৃত যুবক তার পিতার সাথে কৃষি কাজে সহায়তা করতো।
পুলিশ সুপার আরো জানান, গুজব ছড়ানোর সাথে জড়িত অন্যন্যরা পালিয়ে গেছে। তাদের এক জন বর্তমানে চট্রোগ্রামে অবস্থান করছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। চরফ্যাসন থানার ওসি সামসুল আরেফিন জানান, আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে। আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে শুনানী হবে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মো: শাফিন আহমেদ,মো: রাসেলুর রহমান,সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চরফ্যাশন সার্কেল) মো: সাব্বির হোসেন, চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামসুল আরেফিন, ডিবি ওসি শহিদুল ইসলাম, ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক বাংলার কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক মো: হাবিবুর রহমান, প্রবীন সাংবাদিক আবু তাহেরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন।