অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিনে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কর্মশালা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯শে জুন ২০২২ রাত ১০:১১

remove_red_eye

৪২০

এম শরীফ আহমেদ।। ভোলার তজুমদ্দিনে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ঝুঁকি যোগাযোগ,সমাজের সম্পৃক্ততা এবং টিকা গ্রহণে উদ্ধুদ্ধকরণ করার লক্ষ্যে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে কর্মশালা করেছে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট। রবিবার (১৯জুন) ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মিলনায়তনে “ইউনিসেফ” এর সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কবির সোহেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভোলা জেলা মাষ্টার ট্রেইনার মাওলানা মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন কাশেমী।
দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ভোলা জেলা সমন্বয়কারী মোঃ আশরাফউদ্দিন মামুনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ নাছরুল্লাহ,হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তজুমদ্দিন উপজেলা সভাপতি বিধুভূষণ রায়,খোশনদী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

শুরুতে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন,দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ভোলা জেলা সমন্বয়কারী মোঃ আশরাফউদ্দিন (মামুন)। এর পর পরই প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ইনফরমেশন সার্ভিস প্রোভাইডর এম শরীফ আহমেদ। পুরো কর্মশালা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রেডিও মেঘনার সহকারী নিউজ প্রোডিউসার আসমা আক্তার সুরভী।
বক্তব্যে বক্তারা বলেন,অনেকে ধর্মের দোহাই দিয়ে করোনার টিকা গ্রহণ করছেনা।যার কোনো ভিত্তি নেই। নবী বলেছেন অসুস্থ্য হলে সুন্নত হিসেবে ঔষধ সেবন করতে। তাহলে আমরা কেন ঔষধ সেবন করবোনা।আমাদের সকলের উচিত করোনার ৩টি ডোজ টিকা সম্পন্ন করা ।
বক্তারা বলেন,সরকার, এনজিও সংস্থা এবং বিভিন্ন সংগঠন বহুবার আহ্বান করার পরেও কুসংস্কারে ডুবে থাকা ব্যক্তিরা কোনো সাড়া দেয়নি, টিকাও গ্রহণ করে নি।তাদেরকে দ্রæত টিকার আওতায় আনা আমাদের দায়িত্ব।কারণ করোনা এখনো পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে যায়নি।যেকোনো মুহুর্তে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। ইতোমধ্যে করোনার সংক্রমণ আবার বেড়ে গেছে। তাই সব সময় আমাদেরকে সচেতন থাকা উচিত।পাশাপাশি আমাদের কমিউনিটির সবাইকেও সচেতন রাখার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করা উচিত।