অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় আওয়ামী লীগকে নিয়ে সম্পাদক বিপ্লবের ভাবনা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪ই জুন ২০২২ রাত ১১:৪০

remove_red_eye

৩২৯

নাসির লিটন : ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কর্মীবান্দব মইনুল হোসেন বিপ্লব দলকে ডেলে সাজাতে চান। ১১ জুন সম্মেলনের পর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীর পাশপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর সময় তিনি তার ভাবনার কথা জানান। তাকে ঘিরে  নানা স্বপ্নে বিভোর ত্যাগী ও এ প্রজম্মের আওয়ামী লীগ কর্মীরা। আর তৃণমূলের এমন প্রত্যাশা পূরণে নিজেকে উজাড় করে দেয়ার ঘোষণা দিলেন নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব। সিনিয়র নেতৃন্দের সহযোগিতায় সকল অপশক্তি ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার থেকে দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চান তিনি। বিশেষ করে ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে মাঠের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দলের বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখাই প্রধান লক্ষ্য।
জন্মের ৬ মাস আগে পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফকে হারালেও জন্মেরর পর পিতার ¯েœহে আদর্শে বড় করে তোলেন আপন ছোট চাচা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বরিশাল ক্যাডেট কলেজের ছাত্র  এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষাবোর্ডে সম্মেলিত বিজ্ঞান বিভাগে মেধা তালিকায় নবম ও ১৭তম স্থান পাওয়া বিপ্লব কম্পিউটার বিজ্ঞানে পূর্নবৃত্তি নিয়ে ¯œাতক ও মাস্টার অব ইনফেরমেশন সিস্টেমের উপর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন অস্ট্রেলিয়ার সেন্ট্রাল  কুইন্সল্যান্ড ইউনিভারসিটি থেকে। দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। নিজের মেধা ও মনন শক্তির বিকাশে তৃণমূল নেতাকর্মীদের আপনজন হয়ে ওঠেন রাজনীতির ১০ বছরে।
২০১৬ সালে ২০ ফের্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের কনিষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে দক্ষতার পরিচয় দেন সর্বাধিক। ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কমিটি গঠন করা ও ওই সব নেতাদের অনলাইন ডেটা বেইস তেরী করে তাদের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে এক গতিময় অধ্যায় শুরু করেন বিপ্লব। আপোষহীন নীতিতে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌর ও উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের দলীয় প্রার্থীর জন্য মাঠে কাজ করেন। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ছিলেন আপোষহীন। একই সঙ্গে দলীয় সকল কর্মসূচি পালনে শতভাগ সফলতা আনেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীসহ জাতীয় দিবসগুলো উদযাপনে আলোচনার পাশপাশি যুক্ত করেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জেলার সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গেও গড়ে ওঠে তার আত্মিক সম্পর্ক। করোনাকালীন সময়ে নি¤œ আয়ের কর্মীহীন মানুষকে সহযোগিতা করতে ছুটে বেড়ান প্রান্তিক । এভাবেই সকল ক্ষেত্রে কর্মী বান্ধব হয়ে ওঠেন বিপ্লব।
জেলা সদরের পাশপাশি ভোলা-৪ আসের সংসদ সদস্য সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-২ আসেন সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলের নির্দেশনা , উপদেশ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে দলীয় কাজ করার কথাও জানান  বিপ্লব। ফলে সকলের আপন জন হয়ে ওঠেন এই তরুন নেতা।  
 ৬ বছর ৩ মাস ২০ দিনে মাঠের নেতাদের নির্ভরতা ও বিশ্বততার স্থান করে নেয়ায় শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক পদে বিপ্লবের বিকল্প কেউ ছিলেন না। ফলে উপস্থিত ৩১৭ জন কাউন্সিলরের পাশপাশি এক হাজার ৭শ ডেলিগেটও সাধারন সম্পাদক হিসেবে বিপ্লবকে সমর্থন জানান। সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে বিপ্লব প্রথমে স্মরণ করেন বাঙালি জাতীয় অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিভাবক তোফায়েল আহমেদ, দলের সাধারন সম্পাদক ওয়াদুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বরিশাল বাসীর অভিভাবক  পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহŸায়ক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কেন্দ্রী নেতাদের পাশপাশি জেলার ৩জন সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সকলের সহযোগিতা নিয়ে জেলা ব্যাপী মাঠের নেতাদের সংগঠিত করতে কাজ করে যাব।  
এদিকে ১১ জুন সম্মেলণে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিপ্লবকে ঘিরে বেশ উচ্ছসিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। জেলা কার্যালয় থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত ফিরে এসেছে চাঞ্চল্য। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবিদুল আলমের মতে সুসংগঠিত ভোলার আওয়ামী লীগ বিপ্লবের নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে। শুভেচ্ছা জানাতে আসা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ কর্মী মো. হেলাল জানান, করোনাকালে তারা সুখে দুখে বিপ্লবকে কাছে পেয়েেেছ। বিপ্লব পাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছেন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এ বন্ধন আরও দৃঢ় হবে, দল শক্তিশালী হবে।





আরও...