অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় উৎসব মুখর পরিবেশে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ই জুন ২০২২ রাত ১১:০৬

remove_red_eye

৩৫৫


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল করেছেন : তোফায়েল

আওয়ামী লীগ কোন দিন কারো বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেনি: ওবায়দুল কাদের


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক  :  দীর্ঘ ৬ বছর পর ব্যাপক উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শনিবার  সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভোলা  জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সম্মেলনের প্রধান অতিথি ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সম্মানিত অতিথি মন্ত্রী পদমর্যাদার পার্বত্য চট্রোগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। কোরআন তেলোয়াতের মধ্যদিয়ে সম্মেলনের প্রথম পর্বের কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুরে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলন উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি।


সম্মেলনে প্রধান অতিথির আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী  তোফায়েল আহমেদ  বঙ্গবন্ধুর স্মতিচারণ করে তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এই পৃথিবীতে অনেক নেতা আসবে, অনেক নেতা এসেছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যার মতো নেতা পৃথিবীতে বিরল। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সবচেয়ে খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করে বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা ব্রীজ করেছেন। যখন বিশ্ব ব্যাংক টাকা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিপ্ত কণ্ঠে বলেছিলেন আমরা নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা ব্রীজ করবো। তিনি সেই কথা রেখেছেন।  তিনি বিচক্ষন, সাহসী। কারো কাছে মাথা নত করেন না। আমরা তাকে নিয়ে গর্ব করি। তাকে নিয়ে গৗরব করি। আসুন আমরা সকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি। বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা সোনার বাংলা গড়ে তুলি। এটাই আমাদের শপথ।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে  ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন কালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী , বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোন দিন কারো বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেনি। বারে বারে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। অন্ধকারের মধ্যে, দুর্যোগের মধ্যে, অমানিশার মধ্যে এগিয়ে যাওয়ার নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমরা মৃত্যুর মিছিলে জীবনের জয়গান গাই, আমরা ধ্বংশস্তুপের মধ্যে সৃষ্টির পতাকা উড়াই। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অভিমুখে উন্নয়নের পতাকা হাতে এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু আমাদের সকলের প্রেরণা জোগাচ্ছে। যারা তাকে হত্যা করে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়ে ছিলো,তারা আজ নিজেরাই আজকে ইতিহাস থেকে মুছে যাচ্ছে। তিনি শুরুতে দ্বীপ জেলা ভোলাকে দ্বীপের রানী উল্লেখ করে ছন্দময় প্রকৃতির বর্ননা করেন।


ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লার সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলুর পরিচালনায় সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, মন্ত্রী পদমর্যাদার পার্বত্য চট্রোগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিক্ষন কমিটির আহবায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি। এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দীন নাছিম। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন।

এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যিনর্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম রাব্বানী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যিনর্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান,  ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল. সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার,জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব । সম্মেলনে বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু ।  শোক প্রস্তাব পাঠ করেন  জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব। ৬ বছর ৩ মাস ২০ দিন পর অনুষ্ঠিত হলো  এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। রঙিন   ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে শহর। জেলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বিশাল প্যান্ডেলে সুসজ্জিত মঞ্চের পাশপাশি ২ হাজার ৫শ জনের জন্য নির্ধারিত আসন অংশ নেন ৩১৭ জন কাউন্সিলর, ১ হাজার ৭জন ডেলিগেট ও ৬শ জন অতিথি।





আরও...